সহজে জেনে নিন নিজের রাশি, পঞ্জিকা ছাড়াই রাশি চেনার উপায়
রাশি চক্রের বারোটি রাশির চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য তাদের একে অপরের থেকে আলাদা করে তুলেছে। এ সম্পর্কে জানা থাকলে সহজেই বুঝে নেওয়া সম্ভব কার কোন রাশি।
রাশিচক্রে মোট বারোটি রাশি। মেষ, বৃষ, মিথুন, কর্কট, সিংহ, কন্যা, তুলা, বৃশ্চিক, ধনু, মকর, কুম্ভ ও মীন। কোনও জাতক বা জাতিকার রাশি নির্ণয় করা হয় পঞ্জিকা বিচার করে। বারোটি রাশির চরিত্রগত বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্যও তাদের একে অপরের থেকে আলাদা করে তুলেছে। সেইসব বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে ধারনা থাকলে সহজেই বুঝে নেওয়া সম্ভব কোন মানুষটি কোন রাশির জাতক বা জাতিকা।
এ লেখা আমার জ্যোতিষশাস্ত্রের শিক্ষাগুরু শ্রীশুকদেব গোস্বামীর গ্রন্থের সাহায্য নিয়ে। এর সঙ্গে সংযোজন করা হয়েছে নিজের পেশাগত জীবনের বেশ কিছু অভিজ্ঞতার কথা। লেখক চিরকৃতজ্ঞ হয়ে রইল উক্ত গ্রন্থের লেখক ও প্রকাশকের কাছে।
মেষ রাশির চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য : আত্মপোলব্ধি এক অদম্য শক্তিতে ভরপুর এ রাশি। মেষ রাশির অধিপতি সেনাপতি মঙ্গল। ক্ষাত্রশক্তি থেকে উদ্ভূত ক্ষমতা এই রাশিতে বর্তমান। তাই পুরুষোচিত বীর ধর্মের বিকাশের ফলে মেষ রাশির জাতক জাতিকাদের জীবনযুদ্ধে পরাজিত হয়ে ফিরে আসার হীন প্রবৃত্তি নেই। তবে ক্ষেত্রবিশেষে নির্মম নিয়তির অমোঘ হাতছানিকেও অস্বীকার করতে পারে না। মানুষের চরিত্রে তমো ও রজোগুণের প্রাবল্য বেশি, সত্ত্বগুণকে যতই আশ্রয় করুক না কেন। তাই মেষ রাশির মন যত উদার উন্নত হোক না কেন, এ প্রকাশ বাহ্যিক, একেবারে অন্তরের নয়, আন্তরিক নয়। স্বার্থে এতটুকু আঘাত লাগলে স্বভাবে এরা ভয়ংকর হয়ে ওঠে। চট করে এরা ধরা পড়ে না, বেশ কিছুদিন মেলামেশা করলে কথাবার্তা আনন্দ উল্লাসের মধ্যে দিয়ে এই রাশির জাতক জাতিকাদের প্রকৃত চরিত্র ধরা পড়ে। তখন বুঝতে পেরে সরেও পড়ে পরিচিতের কাছ থেকে। প্রথম অবস্থায় স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নশীল। যৌবনে আনন্দে উল্লসিত মন পরবর্তী সময়ে নানান শুভাশুভ কাজের মধ্যে দিয়ে বরণ করে নেয় জীবন সংগ্রামের বলিষ্ঠ পথকে।
বৃষ রাশির চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য : অষ্টাদশ সিদ্ধির নায়ক ধারক ও বাহক সর্বশাস্ত্র প্রবক্তা শুক্রাচার্য। শুধু ত্যাগেই ধর্ম হয় না, ভোগের মধ্যে দিয়েই চলে ত্যাগের সন্ধান। কামনা বাসনা পরিত্যাগ করে কখনও বৈরাগ্যের ভিত্তি স্থাপিত হয় না। ভোগবাদী হলেও সত্ত্বগুণাশ্রয়ী শুক্র এ সত্য বুঝেছিলেন। রজোগুণে ভরা শুক্রের প্রভাবাশ্রিত রাশি বৃষ। কর্মযোগী শুক্র। কর্মের ভিতর দিয়ে এ রাশির জাতক জাতিকার চলে আত্মপ্রতিষ্ঠার চেষ্টা। শুক্রের প্রভাব থাকায় বৃষরাশির জাতক জাতিকাদের মন উদার উন্নত হয়। দুঃখ দুর্দশাকে লাঘব করে অন্তরে নির্মল আনন্দলাভের প্রচেষ্টাই চলে অহরহ। সাহিত্যে শিল্পে শাস্ত্রানুশীলনে শুভ শুক্রের প্রভাব থাকে বৃষ রাশির জাতক জাতিকাদের মধ্যে। জীবন সংগ্রামে এদের পরাজয় খুব কমই ঘটে।
মিথুন রাশির চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য : এই রাশির জাতক জাতিকারা তমোগুণাশ্রিত। মন এদের উদার, উন্নত নয়। জীবনে একদিকে যৌবনচিত কর্মচাঞ্চল্য, অন্যদিকে তেমন অপরিণত বুদ্ধির বিকাশ। এই রাশির স্বপ্নসৌধ প্রায়ই ভেঙে চুরমার হয়ে যায় নিদারুণ নির্মম বাস্তবতার আঘাতে। দূরঅভিসন্ধিমূলক কাজে বেশি আনন্দ পায়। ব্যবসা সংক্রান্ত বুদ্ধি এদের প্রশংসনীয়। মৌলিক জ্ঞানের চেয়ে পাণ্ডিত্য বেশি। তর্কে পেরে ওঠা কঠিন। মিথ্যা কথায় মেষ রাশির মত পটু। স্বভাব চঞ্চল বলে একাধিকবার প্রেমে পড়ে। কোনও প্রেমই দীর্ঘস্থায়ী রাখতে পারে না। মিথুন রাশির জাতক জাতিকাদের কথার সঙ্গে কাজের সঙ্গতি প্রায়ই পাওয়া যায় না। এরা বিশ্বাস করে ঠকে। অন্যের কথায় প্রভাবিত হয়। এদের যেকোনও ভাবে পরিচিতি বেশি।
কর্কট রাশির চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য : একদিকে দুঃখ শোক গ্লানি অহংকার যেমন, তেমনই অন্যদিকে সুখশান্তি আনন্দ ত্যাগ বৈরাগ্য। কর্কট সম রাশি বলে সংসারে সুখ দুঃখ শোককে এই রাশির জাতক জাতিকারা অস্বীকার করে না, সাদরে গ্রহণ করে। এদের মধ্যে একদিকে রয়েছে স্নেহ উদারতা, অন্যদিকে রয়েছে নির্দয়তা। মঙ্গলের রজোগুণ ও শনির তমোগুণের সংমিশ্রণে এদের ক্রোধ কখনও কখনও প্রবল হয়ে ওঠে। অহংকার ও দম্ভের প্রকাশ যোগ্যতার চাইতে বেশি। স্ত্রীর কাছ থেকে মন মতো ব্যবহার না পেলে প্রায়ই অন্য রমণীর আশ্রয় খুঁজে নিতে চেষ্টা করে। এদের নেতৃত্ব দেবার ইচ্ছা থাকে জীবনের প্রথমাবস্থা থেকে। শনির তমোগুণের প্রভাবে জীবনে দুঃখবাদের ভারী বোঝাটাই বয়ে নিয়ে বেড়াতে হয় বেশি।
সিংহ রাশির চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য : রবির প্রভাবাশ্রিত উদ্ভাবনী শক্তির ধারক ও বাহক সিংহ রাশি। মানসিক শক্তির উৎসদাতা সিংহ রাশির জাতক জাতিকাদের মধ্যে থাকে বলিষ্ঠ গাম্ভীর্য। এরা জীবন পথে এগিয়ে চলে বাধাবন্ধহারা গতিতে। এদের মধ্যে রয়েছে দয়ামায়া, অনাশ্রিতকে আশ্রয়দান করার ক্ষমতা। এরা সব সময়েই কৃতজ্ঞ। দোষ স্বীকার করলে ক্ষমা করাই এদের জীবনের দস্তুর। ভোগের মধ্যে দিয়েই এদের ভগবানকে ডাকা। সব ছেড়ে তাঁকে চাই, এমন ভাবনা এ রাশির জাতক জাতিকারা স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারে না। ভোগবাসনা চরিতার্থ না হলে এদের মানসিকতা নিম্নাভিমুখী হয়ে পড়ে। সন্তানভাবনা অতিমাত্রায়। রাগ ও স্পষ্টবাদিতার কারণে আত্মীয় ও বন্ধুর সংখ্যা খুবই কম। যে কোনও পরিবেশে প্রথম অবস্থায় নয়, পরে নিজেকে জাহির করার চেষ্টা। বিবাহিত জীবনে তমোগুণী শনির প্রভাবে এ রাশির জাতক জাতিকারা শতকরা একজনও শান্তি পেয়েছে কিনা সন্দেহ। সিংহ রাশির ডিভোর্সের সংখ্যা অন্য রাশির তুলনায় বেশি।
কন্যা রাশির চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য : এই রাশির অধিপতি গ্রহ বুধ। ভাবাবেগের রাশি। উক্ত রাশির জাতক জাতিকাদের মুখশ্রীতে প্রতিফলিত রয়েছে সৌম্যভাব। স্মৃতিশক্তির প্রখরতায় এরা অনেক বিষয়ই কণ্ঠস্থ করতে সমর্থ হয়। এদের চরিত্রের মধ্যে নির্মল নির্লোভ কমনীয়তা থাকে তাই খুব সহজেই শত্রুকে বশীভূত করতে সক্ষম হয়। এই রাশির প্রেমাবেদন থাকে অতিমাত্রায়। বিপরীত লিঙ্গকে দ্রুত আকর্ষণ করতে পারে। বিবাহ প্রায়ই অসবর্ণ পরিচিতের মধ্যে হয়ে থাকে। সরলতার মধ্যে রয়েছে আত্মবিশ্বাস ও মানসিক সংযম। নিজ প্রচেষ্টা এবং অন্যের সহায়তা এ দুইয়ের মিলনে আসে প্রতিষ্ঠা। স্বভাবে বুধ তমোধর্মী তাই এ রাশি বৈরাগ্যকে আশ্রয় করে এগিয়ে চলতে চায় না। ভালোবেসে বিয়ে করলেও স্বামী ও স্ত্রী প্রায়ই মনোমতো হয় না। সংগীত সাহিত্য শিল্পের প্রতি আকর্ষণ যেন সহজাত।
তুলা রাশির চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য : শুক্রাচার্যের আনন্দময় ধাম তুলা রাশি। জাগতিক কামনাবাসনার কারক এই রাশি। প্রকাশ শক্তির বিস্তার এই রাশিতে কম। জাতক জাতিকাদের প্রকৃত মনোভাব বুঝে ওঠা দায়। যে কোনও মুহুর্তে প্রতিষ্ঠাক্ষেত্রে বারংবার বাধা আসে তবুও শুক্রের প্রভাবে দুর্দমনীয় প্রচেষ্টা নিয়ে অগ্রসর হয়, আরও সুন্দর ও ঐশ্বর্যমণ্ডিত করে তুলতে চায় জীবনকে। এই রাশিতে রজোগুণের প্রভাব বেশি থাকায় কর্মের উদ্যম নষ্ট হয় না। জীবনের প্রথমভাগে ভোগ বাসনা শিল্পপ্রিয়তা, মধ্যভাগে ত্যাগের মধ্যে দিয়ে জীবন পরিচালনা, শেষ ভাগে ত্যাগের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। এদের জীবনে কর্ম প্রায় ক্ষেত্রেই অসম্পূর্ণ থাকে। এই রাশির জাতক জাতিকারা প্রশংসা ও স্তুতিপ্রিয়। সহজে অন্যের কথায় বিশ্বাসী হয়ে পরে প্রতারিত হয় মানসিক ও আর্থিক ভাবে।
বৃশ্চিক রাশির চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য : এই রাশির জাতক জাতিকারা চঞ্চল ও একগুঁয়ে মনোভাবের হয়। রাগ জেদ অস্থিরতা অধীর ও পরশ্রীকাতরতা দোষগুলি এ রাশিতে প্রায়ই থাকে। উদারতার প্রকাশ ও চারিত্রিক দৃঢ়তা কম। আত্মপ্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে থাকে। আধ্যাত্মিকতার মধ্যেও এদের ভণ্ডামি থাকে। অসম্ভব সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে প্রতিষ্ঠা আসে, তবে চন্দ্রের নিচস্থান বৃশ্চিক রাশি, তাই কিছুতেই শান্তিটা আসে না। পারলৌকিক বিষয়ে কৌতূহল সীমাহীন। এদের করা কাজ অন্যের ভালো না লাগলেও নিজের পরিতৃপ্তিই যথেষ্ট। ইচ্ছাধীন কর্মে আগ্রহী। অন্যের মত ও কথায় গুরুত্ব দিতে নারাজ। বিবাহিত জীবনে মন ও মতের মিলের অভাব থাকে। এই রাশির জাতক জাতিকারা ব্যর্থতার মধ্যেও খুঁজে নিতে পারে আধ্যাত্মিকতা। শেষ জীবন প্রায়ই কাটে ধর্মীয় জীবনে মনোনিবেশে।
ধনু রাশির চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য : এই রাশিতে দেবগুরু বৃহস্পতির ভাব তেজোধর্মী। এই রাশির জাতক জাতিকাদের মধ্যে মূর্ত হয়ে উঠেছে দ্ব্যত্মক ভাব। একইসঙ্গে রজো ও সত্ত্বগুণের সমাহার। এদের ভিতর প্রচ্ছন্ন থাকে অহংকার। অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে এরা মুখর। এরা চট করে কাউকে বিশ্বাস করতে পারে না। সন্দেহের ভাবটা থাকে ঘরে বাইরে। যোগ্যতার তুলায় এরা উপার্জন করে বেশি। এই রাশির মধ্যে দয়া মায়া সহিষ্ণুতাও অনেক বেশি। আত্ম প্রতিষ্ঠা আসে নিজ চেষ্টায়। অন্যের উপর এদের ভরসা কম। নিজের কাজ নিজেই করতে বেশি ভালোবাসে। জাতকের মধ্যে স্ত্রৈণের সংখ্যা কম। অসদুপায়ে কিছু অর্থ জীবনের কোনও না কোনও সময়ে এসে যায়। বিবাহের পরবর্তীকালে ভাগ্যের প্রকৃত বিকাশ ঘটে। বিবাহিতজীবনে স্ত্রীর সঙ্গে প্রায়ই মতের মিলের অভাব দেখা দেয়।
মকর রাশির চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য : জন্মের পর থেকে এই রাশির জাতক জাতিকারা দেখেছে চারদিকে ছড়িয়ে আছে হিংসা-দ্বেষ অহংকার ও স্বার্থের পসরা। তার মধ্যে দিয়ে দুঃখবাদের কারক মকর রাশির অধিপতি শনি মূল লক্ষ্যে পৌঁছে দেয়। এদের চরিত্রে প্রকাশ পায় কর্মে নিষ্ঠা, কঠোর পরিশ্রম, অধ্যবসায় ও একাগ্রতা। সমস্ত দুঃখ কষ্টকে জয় করার ক্ষমতা যেন আত্মশক্তির মধ্যেই নিবিড়ভাবে নিহিত আছে। বয়েস বৃদ্ধির সঙ্গে এই রাশির প্রতিষ্ঠা যশ সম্মান অর্থ ক্রমোত্তর বৃদ্ধি পেতে থাকে। এদের মন ও মত, কর্মচিন্তা ও পদ্ধতি সাধারণের তুলনায় একটু ভিন্ন ধরণের। পরিশ্রম করে এরা সফল হয় তবে সাফল্য দেরিতে। বিবাহ প্রায়ই পরিচিতের মধ্যে সংঘটিত হয়। আত্মীয়রা তেমন উপকারে আসে না। সংসারী হয়, উদাসীন খুব কর্মক্ষেত্রে। বিলাসে প্রমত্তের চেয়ে এরা একেবারেই সাধারণ জীবনযাপনের পক্ষপাতী।
কুম্ভ রাশির চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য : শনির আনন্দময় স্থান বলা হয়ে থাকে কুম্ভ রাশিকে। দম্ভ অহংকার পরশ্রীকাতরতা এই রাশির জাতক জাতিকাদের চরিত্র বিরুদ্ধ। এগুলির আবির্ভাব ঘটলেই বুঝতে হবে এদের জীবনপ্রবাহ এগিয়ে যাচ্ছে দুর্ভোগময় জীবনের পথে। সাংসারিক সমস্ত দুঃখকে জয় করে যেমন পরমানন্দ লাভ করে, তেমনই অফুরন্ত আনন্দভাবে ভরপুর এই রাশি। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গেই উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পায় অধ্যাত্মচেতনা। সংগ্রামী জীবনের পূর্ণতা আসে মধ্য বয়েসের পর। এরা ঈশ্বরভক্তিপরায়ণ হয়। যৌনজীবনে সংযমের প্রয়াসী। রাশির উপর অশুভ গ্রহের প্রভাব থাকলে সম্পূর্ণ বৈপরীত্য ঘটে এদের চরিত্রে। যে কোনও নিম্নস্তরের কাজ করতে অন্তরে এতটুকুও হেলদোল নেই। গুছিয়ে সুন্দর মিথ্যা বলায় এদের যেন জুড়ি নেই।
মীন রাশির চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য : দেবগণের ঋষি অঙ্গিরার পুত্র দেবগুরু বৃহস্পতি। জ্ঞানযোগী বৃহস্পতির আপন ক্ষেত্র এবং কর্মযোগী ভোগবাদী দৈত্যগুরু শুক্রাচার্যের তুঙ্গক্ষেত্র মীন রাশি। তাই এই রাশির জাতক জাতিকাদের মধ্যে রয়েছে সত্যের পরিচয়, কর্তব্যনিষ্ঠা ও আদর্শবাদের বলিষ্ঠ প্রকাশ। আধ্যাত্মিক অনুভূতিকে এরা চিরন্তন করে রাখতে চায় মনের প্রতিটা স্তরে। দৈত্যগুরু অন্যদিকে শিক্ষা দিয়েছেন কর্মের মধ্যে দিয়ে লাভ করতে হবে ত্যাগকে। তবে ভোগবাদকে অস্বীকার করে কিছুতেই লাভ করা যায় না ত্যাগবাদকে। চাই ভোগ, সৃষ্টি, আনন্দ, দৈহিক পরিতৃপ্তির জন্য ইন্দ্রিয়সুখ। সত্ত্ব ও রজোগুণের এই বিকাশই প্রস্ফুটিত হয়েছে মীন রাশির জাতক জাতিকার মধ্যে। ধর্ম শুধুমাত্র ত্যাগের নয়, ভোগেরও অধিকার রয়েছে পূর্ণমাত্রায়। এই রাশি জন্মকুণ্ডলীতে পাপগ্রহ দ্বারা পীড়িত হলে সমস্ত সত্ত্বগুণ নষ্ট হয়ে যায়। তখন ভোগের জন্য ব্যাকুল মন খুঁজে পায় না তার প্রকৃত চরিত্রকে। রাশির উপরে শুভগ্রহের প্রভাব থাকলে জাতক জাতিকাদের মন চরিত্র সংসারজীবন ও অন্যান্য বিষয় সার্থক সুন্দর হয়ে ওঠে সবদিক থেকে।