Categories: Bengali Year

কর্কট রাশির ১৪৩২ বাংলা বছরটা কেমন কাটবে, কি করলে ভালো থাকবেন

১৪৩২ সালের পয়লা বৈশাখ থেকে চৈত্রসংক্রান্তি পর্যন্ত কর্কট রাশির মোটামুটি বছরটা কেমন যাবে তার সম্ভাব্য ফলাফল ও কি করলে বছরটায় ভালো থাকবেন।

Published by
Sibsankar Bharati

একদিকে দুঃখ শোক গ্লানি অহংকার যেমন, তেমনই অন্যদিকে সুখশান্তি আনন্দ ত্যাগ বৈরাগ্য। কর্কট সম রাশি বলে সংসারে সুখ দুঃখ শোককে এই রাশির জাতক জাতিকারা অস্বীকার করে না, সাদরে গ্রহণ করে। এদের মধ্যে একদিকে রয়েছে স্নেহ উদারতা, অন্যদিকে রয়েছে নির্দয়তা।

মঙ্গলের রজোগুণ ও শনির তমোগুণের সংমিশ্রণে এদের ক্রোধ কখনও কখনও প্রবল হয়ে ওঠে। অহংকার ও দম্ভের প্রকাশ যোগ্যতার চাইতে বেশি।

স্ত্রীর কাছ থেকে মন মতো ব্যবহার না পেলে প্রায়ই অন্য রমণীর আশ্রয় খুঁজে নিতে চেষ্টা করে। এদের নেতৃত্ব দেবার ইচ্ছা থাকে জীবনের প্রথমাবস্থা থেকে। শনির তমোগুণের প্রভাবে জীবনে দুঃখবাদের ভারী বোঝাটাই বয়ে নিয়ে বেড়াতে হয় বেশি।

আমার জ্যোতিষশাস্ত্রের শিক্ষাগুরু শ্রীশুকদেব গোস্বামীর গ্রন্থের সাহায্য নিয়ে এই অংশটুকু লেখা হয়েছে। এর সঙ্গে সংযোজন করা হয়েছে নিজের পেশাগত জীবনের বেশ কিছু অভিজ্ঞতার কথা। লেখক চিরকৃতজ্ঞ হয়ে রইল উক্ত গ্রন্থের লেখক ও প্রকাশকের কাছে।

বছরটা কেমন কাটবে : কর্ম ও আর্থিক উভয়ক্ষেত্র অনেকটা সুপ্রসন্ন হবে। কোনও যোগাযোগ উৎসাহিত করবে বছরে বেশ কয়েকবার। দেহ ও মনের স্বস্তিও আসবে গত বছরের তুলনায়। কর্মক্ষেত্রে সম্মান বৃদ্ধি, কোথাও প্রমোদ ভ্রমণ, গৃহে কোনও শুভ বা মাঙ্গলিক কর্মানুষ্ঠান, না চাইতে অর্থ কিংবা কোনও দ্রব্যলাভ, কোনও প্রচেষ্টা বাস্তবায়িত, প্রায়ই গৃহে অতিথি অথবা আত্মীয় সমাগম লেগেই থাকবে। এবছর খুব ভালো উপহার পাবেন। মাঝেমধ্যে থোক থোক কিছু অর্থলাভের যোগ। প্রেমিক-প্রেমিকাদের প্রেমে প্রীতি ও আনন্দ বৃদ্ধি পাবে। এবছর নতুন প্রেমে উদ্যোগীদের সাফল্য লাভের যোগ। বিবাহিতদের দাম্পত্য জীবনে মতবিরোধ মনকে বেশ বিব্রত করবে।

এখানে যে প্রতিকারগুলি রাশি অনুযায়ী করা হল তা শুধুমাত্র এক বছরের জন্য। প্রতিকারগুলি আমার মনগড়া কোনও কথা নয়। বিভিন্ন সময়ে ভারতের নানা প্রান্তে ভ্রমণকালীন পথচলতি সাধুসঙ্গের সময় লোক-কল্যাণে সাধুদের বলা প্রতিকারগুলিই এখানে করা হল।

কি করলে একটু ভালো থাকবেন : প্রতি শুক্রবার কোনও মহিলা ভিখারিকে যে কোনও একটা ফল আর যা মন চায় কিছু পয়সা দেবেন। চেষ্টা করবেন সারা বছরে একটা শুক্রবার যেন বাদ না যায়। কাজটা চলতে থাকলে কর্মজীবন, সংসার ও প্রতিষ্ঠা জীবনে চলার পথের বাধা, অস্বস্তির হাত থেকে বহুলাংশে মুক্তি পাবেন।

কি রঙের পোশাক পরবেন : কালো, খয়েরি এবং যে কোনও গাঢ় রঙের পোশাক একেবারে বর্জন করলে ভালো হয়। অন্য কোনও হালকা রঙের পোশাক চলবে। সবচেয়ে ভালো হয় সাদা আর খুব হালকা হলুদ পরলে। মিষ্টি আকাশিও পরতে পারেন। এগুলি সব সাফল্য ও আনন্দের এই রাশির পক্ষে। বাড়ির রঙের যে কোনওটা করা যেতে পারে অসুবিধা না থাকলে।

এবার ব্যক্তিগত রাশি অনুসারে ‘ফল’ কতটা মিলবে সে বিষয়টি খোলসা করে বলা যাক। এখানে যে ফলাফল লেখা হল তা একেবারেই অনুমানভিত্তিক।

নক্ষত্র ভেদে এক এক জাতক-জাতিকার মানসিক গঠন, চিন্তাভাবনা, চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, জীবনপ্রবাহ এক একরকম হয়ে থাকে; এর সঙ্গে থাকে জন্মকালীন রাশিচক্রে শুভাশুভ গ্রহের অবস্থান। রাশি এক হলেও নক্ষত্র ইত্যাদি ভেদে ফলাফলের তারতম্যটাই স্বাভাবিক।

অত্যন্ত সূক্ষ্ম বিচার করে ফলাফল লেখা সম্ভব হয় না। প্রত্যেকটা রাশির কোনও একটা নক্ষত্রকে ধরে গড়ে একটা অনুমানভিত্তিক শুভাশুভ ফল লেখা হয়। ফলে কারও ফল মেলে দারুণভাবে, কারও কিছু কিছু, কারও বা একেবারেই নয়।

সব কথা মিলবে, এমনটা ভাববার কোনও কারণ নেই। এখানে রাশির ওপর ভিত্তি করে ভাগ্যফল নিয়ে যা লেখা তা অভিজ্ঞতায় দেখা একটা আভাস মাত্র। এটাই বাস্তব সত্য বলে ধরে নিয়ে চলাটা কোনও কাজের কথা নয়, চলার কারণ আছে বলেও মনে হয় না।

Share
Published by
Sibsankar Bharati