মেষ রাশির ২০২৫ বছরটা কেমন কাটবে ও কি করলে ভালো থাকবেন
লেখক জ্যোতির্বিদ শিবশংকর ভারতীর কলমে মেষ রাশির ২০২৫ সালের রাশিফল - কেমন কাটবে ২০২৫ সালের ১লা জানুয়ারি থেকে ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত তার আগাম ধারনা।
আত্মপোলব্ধি এক অদম্য শক্তিতে ভরপুর এ রাশি। মেষ রাশির অধিপতি সেনাপতি মঙ্গল। ক্ষাত্রশক্তি থেকে উদ্ভূত ক্ষমতা এই রাশিতে বর্তমান।
তাই পুরুষোচিত বীর ধর্মের বিকাশের ফলে মেষ রাশির জাতক জাতিকাদের জীবনযুদ্ধে পরাজিত হয়ে ফিরে আসার হীন প্রবৃত্তি নেই। তবে ক্ষেত্রবিশেষে নির্মম নিয়তির অমোঘ হাতছানিকেও অস্বীকার করতে পারে না।
মানুষের চরিত্রে তমো ও রজোগুণের প্রাবল্য বেশি, সত্ত্বগুণকে যতই আশ্রয় করুক না কেন। তাই মেষ রাশির মন যত উদার উন্নত হোক না কেন, এ প্রকাশ বাহ্যিক, একেবারে অন্তরের নয়, আন্তরিক নয়।
স্বার্থে এতটুকু আঘাত লাগলে স্বভাবে এরা ভয়ংকর হয়ে ওঠে। চট করে এরা ধরা পড়ে না, বেশ কিছুদিন মেলামেশা করলে কথাবার্তা আনন্দ উল্লাসের মধ্যে দিয়ে এই রাশির জাতক জাতিকাদের প্রকৃত চরিত্র ধরা পড়ে। তখন বুঝতে পেরে সরেও পড়ে পরিচিতের কাছ থেকে।
প্রথম অবস্থায় স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নশীল। যৌবনে আনন্দে উল্লসিত মন পরবর্তী সময়ে নানান শুভাশুভ কাজের মধ্যে দিয়ে বরণ করে নেয় জীবন সংগ্রামের বলিষ্ঠ পথকে।
আমার জ্যোতিষশাস্ত্রের শিক্ষাগুরু শ্রীশুকদেব গোস্বামীর গ্রন্থের সাহায্য নিয়ে এই অংশটুকু লেখা হয়েছে। এর সঙ্গে সংযোজন করা হয়েছে নিজের পেশাগত জীবনের বেশ কিছু অভিজ্ঞতার কথা। লেখক চিরকৃতজ্ঞ হয়ে রইল উক্ত গ্রন্থের লেখক ও প্রকাশকের কাছে।
বছরটা কেমন কাটবে : দেহ মন সংসার জীবন প্রায়ই বিব্রত করে রাখবে। কর্মক্ষেত্র থাকবে স্বস্তিহীন। ব্যবসায়ীদের পক্ষে বছরটা কাটবে নানা উদ্বেগের মধ্যে দিয়ে। কোনও ঝুঁকিপূর্ণ কাজে আত্মনিয়োগ না করলেই ভালো। পেশায় নিযুক্তদের পক্ষে বছরটা কাটবে অস্বস্তির মধ্যে দিয়ে। অপ্রত্যাশিত আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনা। বিবাহিতদের মতবিরোধজনিত অশান্তিতে প্রায়ই মানসিক শান্তি বিঘ্নিত হবে। পায়ে বড় আঘাত লাগা বা মচকাতে পারে। প্রেমিক প্রেমিকাদের প্রেমপ্রীতিতে সাময়িক ফাটল ধরতে পারে। নতুন প্রেমের ক্ষেত্রে যোগাযোগ বাড়লেও তা অসাফল্যের। কোথাও বেড়াতে যেতে পারেন।
মেষ লগ্নের স্বাস্থ্যের অনেক সুস্থতা ও ধর্মোন্নতি হবে। সময়টা শুভ নয়। সারাবছর দেহমনের উপর চাপ একটা থেকেই যাবে।
এখানে যে প্রতিকারগুলি রাশি অনুযায়ী করা হল তা শুধুমাত্র এক বছরের জন্য। প্রতিকারগুলি আমার মনগড়া কোনও কথা নয়। বিভিন্ন সময়ে ভারতের নানা প্রান্তে ভ্রমণকালীন পথচলতি সাধুসঙ্গের সময় লোক-কল্যাণে সাধুদের বলা প্রতিকারগুলিই এখানে করা হল।
কি করলে একটু ভালো থাকবেন : প্রতি মঙ্গল ও শনিবার নিত্য পুজো হয় এমন হনুমান মন্দিরে একটা চাঁপা ফুল, না পেলে জবা আর সুমিষ্ট পাকা ফল যা মন চায় নিয়ে পুজো দিন, দেখবেন দারুণভাবে বিপদআপদ থেকে রক্ষা পাবেন। সংসার ও প্রতিষ্ঠা জীবনের দুর্ভোগও কাটবে অপ্রত্যাশিতভাবে।
কি রঙের পোশাক পরবেন : সারা বছর ভালো থাকতে যতটা সম্ভব হালকা লাল, গোলাপি, হালকা নীল বা আকাশি রঙের পোশাক ব্যবহার করতে পারেন। সাদাও চলবে। যে ঘর বেশি ব্যবহার করেন সে ঘরের বা বাড়ির রং উক্ত রঙের যে কোনও একটা করলে দেহ, মন সার্বিক ভালোই হবে।
এবার ব্যক্তিগত রাশি অনুসারে ‘ফল’ কতটা মিলবে সে বিষয়টি খোলসা করে বলা যাক। এখানে যে ফলাফল লেখা হল তা একেবারেই অনুমানভিত্তিক।
নক্ষত্র ভেদে এক এক জাতক-জাতিকার মানসিক গঠন, চিন্তাভাবনা, চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, জীবনপ্রবাহ এক একরকম হয়ে থাকে; এর সঙ্গে থাকে জন্মকালীন রাশিচক্রে শুভাশুভ গ্রহের অবস্থান। রাশি এক হলেও নক্ষত্র ইত্যাদি ভেদে ফলাফলের তারতম্যটাই স্বাভাবিক।
অত্যন্ত সূক্ষ্ম বিচার করে ফলাফল লেখা সম্ভব হয় না। প্রত্যেকটা রাশির কোনও একটা নক্ষত্রকে ধরে গড়ে একটা অনুমানভিত্তিক শুভাশুভ ফল লেখা হয়। ফলে কারও ফল মেলে দারুণভাবে, কারও কিছু কিছু, কারও বা একেবারেই নয়।
সব কথা মিলবে, এমনটা ভাববার কোনও কারণ নেই। এখানে রাশির ওপর ভিত্তি করে ভাগ্যফল নিয়ে যা লেখা তা অভিজ্ঞতায় দেখা একটা আভাস মাত্র। এটাই বাস্তব সত্য বলে ধরে নিয়ে চলাটা কোনও কাজের কথা নয়, চলার কারণ আছে বলেও মনে হয় না।