Horoscope

ধনু রাশির শনিবার দিনটা কেমন কাটবে ও শুভ সময়, ২৪ মে, ২০২৫

ধনু রাশির আজকের দিনটা কেমন কাটতে চলেছে, রাশিফল ও দৈনিক সময়সূচী অনুযায়ী প্ল্যানিং করুন আজ কি কি করনীয় আর কি বর্জনীয়। দৈনিক রাশিফল, রাশি অনুযায়ী প্রতিকার ও দৈনিক সময়সূচী।

এই রাশিতে দেবগুরু বৃহস্পতির ভাব তেজোধর্মী। এই রাশির জাতক জাতিকাদের মধ্যে মূর্ত হয়ে উঠেছে দ্ব্যত্মক ভাব। একইসঙ্গে রজো ও সত্ত্বগুণের সমাহার। এদের ভিতর প্রচ্ছন্ন থাকে অহংকার। অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে এরা মুখর। এরা চট করে কাউকে বিশ্বাস করতে পারে না। সন্দেহের ভাবটা থাকে ঘরে বাইরে।

যোগ্যতার তুলায় এরা উপার্জন করে বেশি। এই রাশির মধ্যে দয়া মায়া সহিষ্ণুতাও অনেক বেশি। আত্ম প্রতিষ্ঠা আসে নিজ চেষ্টায়। অন্যের উপর এদের ভরসা কম।


নিজের কাজ নিজেই করতে বেশি ভালোবাসে। জাতকের মধ্যে স্ত্রৈণের সংখ্যা কম। অসদুপায়ে কিছু অর্থ জীবনের কোনও না কোনও সময়ে এসে যায়। বিবাহের পরবর্তীকালে ভাগ্যের প্রকৃত বিকাশ ঘটে। বিবাহিতজীবনে স্ত্রীর সঙ্গে প্রায়ই মতের মিলের অভাব দেখা দেয়।

আমার জ্যোতিষশাস্ত্রের শিক্ষাগুরু শ্রীশুকদেব গোস্বামীর গ্রন্থের সাহায্য নিয়ে এই অংশটুকু লেখা হয়েছে। এর সঙ্গে সংযোজন করা হয়েছে নিজের পেশাগত জীবনের বেশ কিছু অভিজ্ঞতার কথা। লেখক চিরকৃতজ্ঞ হয়ে রইল উক্ত গ্রন্থের লেখক ও প্রকাশকের কাছে।আজ দিনটা কেমন কাটবে : কোনও ঘটনা মানসিক উদ্বেগ সৃষ্টি করলেও দিনটা আনন্দবর্ধক। কোনও সুসংবাদ লাভ। বন্ধু কিংবা আত্মীয়ের গৃহে আতিথ্য গ্রহণ করবেন। কর্মক্ষেত্রে নতুন যোগাযোগ দেখা দেবে। আয় ও আর্থিকক্ষেত্র আশানুরূপ আলো দেখাবে না। পারিবারিক কলহ ও স্বজন বিষয়ে উৎকণ্ঠা দেখা দেব। অযথা অর্থব্যয়। নিকট ভ্রমণ যোগ। হঠাৎ পুরনো বন্ধুস্থানীয়ের কারও সাথে যোগাযোগ প্রীতি বৃদ্ধি করবে। প্রেমিক প্রেমিকাদের মানসিক অশান্তির অবসান ও প্রীতি বৃদ্ধি পাবে। স্বাস্থ্য মানসিক শান্তি নষ্ট করবে।

প্রতিদিন সারাদিনের মধ্যে মাঝে মাঝে কিছুটা ভালো সময় থাকে। যে সময়টা শুভকাজের পক্ষে শুভদায়ক। সেই সময়ের মধ্যে শুভকাজ করলে শুভই হবে একথা জোর দিয়ে বলা যায়না। কারণ বিভিন্ন রাশি গ্রহ নক্ষত্র ইত্যাদির উপর শুভ ফলের মাত্রা কমবেশি হয়ে থাকে। তবুও কিছুটা শুভ ফল আশা করা যায়। যেমন অমৃতযোগ ও মাহেন্দ্রযোগ।

এই যোগে যেকোনও শুভকাজে বেরলে সাধারণভাবে শুভ ফললাভ হয়ে থাকে। যেমন চাকরির পরীক্ষা, কোথাও যাত্রা, কোনও শুভকাজে যাওয়া, পরীক্ষা, বাড়ি কেনাবেচা ইত্যাদি যেকোনও এই কাজ অমৃতযোগ ও মাহেন্দ্রযোগে করলে শুভ ফল পাওয়া যেতে পারে।

আরেকটা হল বারবেলা, কালবেলা ও কালরাত্রি। এই সময় যেকোনও শুভকাজ নিষ্ফলই হয়ে থাকে। সুতরাং আনুমানিক সময় ধরে কাজ করলে ভাল ফল আশা করা যেতে পারে।

আজকের সময়সূচী :


অমৃতযোগ : দুপুর ৩টে ৩১ মিনিট থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত। পুনরায় রাত্রি ৬টা ৫২ মিনিট থেকে ৭টা ৩৫ মিনিটের মধ্যে। পুনরায় ১১টা ১২ মিনিট থেকে ১টা ২১ মিনিটের মধ্যে। পুনরায় ২টো ৪৭ মিনিট থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত।
মাহেন্দ্রযোগ : সকাল ৫টা ৫০ মিনিটের মধ্যে। পুনরায় ৯টা ২১ মিনিট থেকে ১২টার মধ্যে।
বারবেলা : সকাল ৬টা ৩৬ মিনিটের মধ্যে। পুনরায় ১টা ১২ মিনিট থেকে ২টো ৫১ মিনিটের মধ্যে। পুনরায় ৪টে ৩১ মিনিট থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত।
কালরাত্রি : ৭টা ৩০ মিনিটের মধ্যে। পুনরায় ৩টে ৩৬ মিনিট থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত।

এখানে যে প্রতিকারগুলি রাশি অনুযায়ী করা হল তা শুধুমাত্র এক বছরের জন্য। প্রতিকারগুলি আমার মনগড়া কোনও কথা নয়। বিভিন্ন সময়ে ভারতের নানা প্রান্তে ভ্রমণকালীন পথচলতি সাধুসঙ্গের সময় লোক-কল্যাণে সাধুদের বলা প্রতিকারগুলিই এখানে করা হল।

কি করলে একটু ভালো থাকবেন : প্রতিদিন নারায়ণ শিলায় একটা বোঁটা সমেত তুলসী, শিলা না থাকলে নারায়ণের ফটোয় শ্রীচরণে একটা তুলসী স্পর্শ করে খেয়ে নিতে পারেন অথবা রেখেও দিতে পারেন। এতে সংসার, প্রতিষ্ঠা, কর্ম থেকে সার্বিক অবস্থার ধীরে ধীরে অস্বস্তি তো কাটবেই, অশেষ কল্যাণও হবে।

কি রঙের পোশাক পরবেন : পোশাকের রং হলুদ, গোলাপি, হালকা লাল রাখতে চেষ্টা করুন। সবদিক দিয়ে অনেক স্বস্তিতে থাকবেন। বাড়ি ঘরের রং হলুদের উপর ভরসা করলে অর্থ সম্মান দুইই আসবে।

এবার ব্যক্তিগত রাশি অনুসারে ‘ফল’ কতটা মিলবে সে বিষয়টি খোলসা করে বলা যাক। এখানে যে ফলাফল লেখা হল তা একেবারেই অনুমানভিত্তিক।

নক্ষত্র ভেদে এক এক জাতক-জাতিকার মানসিক গঠন, চিন্তাভাবনা, চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, জীবনপ্রবাহ এক একরকম হয়ে থাকে; এর সঙ্গে থাকে জন্মকালীন রাশিচক্রে শুভাশুভ গ্রহের অবস্থান। রাশি এক হলেও নক্ষত্র ইত্যাদি ভেদে ফলাফলের তারতম্যটাই স্বাভাবিক।

অত্যন্ত সূক্ষ্ম বিচার করে ফলাফল লেখা সম্ভব হয় না। প্রত্যেকটা রাশির কোনও একটা নক্ষত্রকে ধরে গড়ে একটা অনুমানভিত্তিক শুভাশুভ ফল লেখা হয়। ফলে কারও ফল মেলে দারুণভাবে, কারও কিছু কিছু, কারও বা একেবারেই নয়।

সব কথা মিলবে, এমনটা ভাববার কোনও কারণ নেই। এখানে রাশির ওপর ভিত্তি করে ভাগ্যফল নিয়ে যা লেখা তা অভিজ্ঞতায় দেখা একটা আভাস মাত্র। এটাই বাস্তব সত্য বলে ধরে নিয়ে চলাটা কোনও কাজের কথা নয়, চলার কারণ আছে বলেও মনে হয় না।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *