কুম্ভ রাশির শুক্রবার দিনটা কেমন কাটবে ও শুভ সময়, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪
কুম্ভ রাশির আজকের দিনটা কেমন কাটতে চলেছে, রাশিফল ও দৈনিক সময়সূচী অনুযায়ী প্ল্যানিং করুন আজ কি কি করনীয় আর কি বর্জনীয়। দৈনিক রাশিফল, রাশি অনুযায়ী প্রতিকার ও দৈনিক সময়সূচী।
শনির আনন্দময় স্থান বলা হয়ে থাকে কুম্ভ রাশিকে। দম্ভ অহংকার পরশ্রীকাতরতা এই রাশির জাতক জাতিকাদের চরিত্র বিরুদ্ধ। এগুলির আবির্ভাব ঘটলেই বুঝতে হবে এদের জীবনপ্রবাহ এগিয়ে যাচ্ছে দুর্ভোগময় জীবনের পথে। সাংসারিক সমস্ত দুঃখকে জয় করে যেমন পরমানন্দ লাভ করে, তেমনই অফুরন্ত আনন্দভাবে ভরপুর এই রাশি।
বয়স বৃদ্ধির সঙ্গেই উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পায় অধ্যাত্মচেতনা। সংগ্রামী জীবনের পূর্ণতা আসে মধ্য বয়েসের পর। এরা ঈশ্বরভক্তিপরায়ণ হয়।
যৌনজীবনে সংযমের প্রয়াসী। রাশির উপর অশুভ গ্রহের প্রভাব থাকলে সম্পূর্ণ বৈপরীত্য ঘটে এদের চরিত্রে। যে কোনও নিম্নস্তরের কাজ করতে অন্তরে এতটুকুও হেলদোল নেই। গুছিয়ে সুন্দর মিথ্যা বলায় এদের যেন জুড়ি নেই।
আমার জ্যোতিষশাস্ত্রের শিক্ষাগুরু শ্রীশুকদেব গোস্বামীর গ্রন্থের সাহায্য নিয়ে এই অংশটুকু লেখা হয়েছে। এর সঙ্গে সংযোজন করা হয়েছে নিজের পেশাগত জীবনের বেশ কিছু অভিজ্ঞতার কথা। লেখক চিরকৃতজ্ঞ হয়ে রইল উক্ত গ্রন্থের লেখক ও প্রকাশকের কাছে।আজ দিনটা কেমন কাটবে : কোনও কারণে পারিবারিক অশান্তি সৃষ্টি এবং কর্মক্ষেত্রে নতুন কোনও ঝামেলা বিব্রত করতে পারে। আর্থিক টান পড়বে তবে প্রয়োজনীয় অর্থ হাতে এসে যাবে। কোনও গুরুত্বপূর্ণ কাজের দায়িত্ব নিতে হবে। মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি। কোনও শুভ কর্মে অংশগ্রহণ। কারও আমন্ত্রণ রক্ষা করা। কথার দোষে অশান্তি সৃষ্টি। অযথা কোনও ঝামেলা মনকে বিষণ্ণ করে তুলতে পারে। কর্মক্ষেত্রে কোনও নতুন যোগাযোগ ও অপ্রত্যাশিত কিছু অর্থলাভ হবে। প্রেমিক প্রেমিকাদের চাপা দুশ্চিন্তা কাটিয়ে দিনটা আনন্দ বৃদ্ধি করবে।
প্রতিদিন সারাদিনের মধ্যে মাঝে মাঝে কিছুটা ভালো সময় থাকে। যে সময়টা শুভকাজের পক্ষে শুভদায়ক। সেই সময়ের মধ্যে শুভকাজ করলে শুভই হবে একথা জোর দিয়ে বলা যায়না। কারণ বিভিন্ন রাশি গ্রহ নক্ষত্র ইত্যাদির উপর শুভ ফলের মাত্রা কমবেশি হয়ে থাকে। তবুও কিছুটা শুভ ফল আশা করা যায়। যেমন অমৃতযোগ ও মাহেন্দ্রযোগ।
এই যোগে যেকোনও শুভকাজে বেরলে সাধারণভাবে শুভ ফললাভ হয়ে থাকে। যেমন চাকরির পরীক্ষা, কোথাও যাত্রা, কোনও শুভকাজে যাওয়া, পরীক্ষা, বাড়ি কেনাবেচা ইত্যাদি যেকোনও এই কাজ অমৃতযোগ ও মাহেন্দ্রযোগে করলে শুভ ফল পাওয়া যেতে পারে।
আরেকটা হল বারবেলা, কালবেলা ও কালরাত্রি। এই সময় যেকোনও শুভকাজ নিষ্ফলই হয়ে থাকে। সুতরাং আনুমানিক সময় ধরে কাজ করলে ভাল ফল আশা করা যেতে পারে।
আজকের সময়সূচী :
অমৃতযোগ : সকাল ৭টা ১ মিনিটের মধ্যে। পুনরায় ৭টা ৪৪ মিনিট থেকে ৯টা ৫১ মিনিটের মধ্যে। পুনরায় ১১টা ৫৮ মিনিট থেকে ২টো ৪৯ মিনিটের মধ্যে। পুনরায় ৩টে ৩১ মিনিট থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত। পুনরায় রাত্রি ৫টা ৫০ মিনিট থেকে ৯টা ২৪ মিনিট পর্যন্ত। পুনরায় রাত্রি ১২টা ৫ মিনিট থেকে ৩টে ৩৯ মিনিটের মধ্যে। পুনরায় রাত্রি ৪টে ৩২ মিনিট থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত।
বারবেলা : সকাল ৮টা ৫৮ মিনিট থেকে ১১টা ৩৭ মিনিটের মধ্যে।
কালরাত্রি : সকাল ৮টা ১৬ মিনিট থেকে ৯টা ৫৭ মিনিটের মধ্যে।
এখানে যে প্রতিকারগুলি রাশি অনুযায়ী করা হল তা শুধুমাত্র এক বছরের জন্য। প্রতিকারগুলি আমার মনগড়া কোনও কথা নয়। বিভিন্ন সময়ে ভারতের নানা প্রান্তে ভ্রমণকালীন পথচলতি সাধুসঙ্গের সময় লোক-কল্যাণে সাধুদের বলা প্রতিকারগুলিই এখানে করা হল।
কি করলে একটু ভালো থাকবেন : প্রতি শনি ও মঙ্গলবার যেকোনও হনুমান মন্দিরে নিখুঁত যে কোনও একটা সুমিষ্ট ফল আর যে কোনও রঙের সুগন্ধি ফুল দিয়ে প্রণাম করে আসুন। যা মন চায় দক্ষিণা দেবেন। সারা বছর কাজটা করতে পারলে সার্বিক অনেক বাধা বিপত্তির হাত থেকে রক্ষা পাবেন নিশ্চিত।
কি রঙের পোশাক পরবেন : আর্থিক মানসিক সাংসারিক কর্ম ও প্রতিষ্ঠাজীবনে সুন্দরভাবে কাটাতে আকাশি, সাদা, হালকা হলুদ, হালকা সবুজ রঙের পোশাক সর্বাঙ্গীণ অনেক স্বস্তি ও আনন্দ দেবে। বাড়ি ঘরের রং সাদার উপর রাখতে পারেন।
এবার ব্যক্তিগত রাশি অনুসারে ‘ফল’ কতটা মিলবে সে বিষয়টি খোলসা করে বলা যাক। এখানে যে ফলাফল লেখা হল তা একেবারেই অনুমানভিত্তিক।
নক্ষত্র ভেদে এক এক জাতক-জাতিকার মানসিক গঠন, চিন্তাভাবনা, চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, জীবনপ্রবাহ এক একরকম হয়ে থাকে; এর সঙ্গে থাকে জন্মকালীন রাশিচক্রে শুভাশুভ গ্রহের অবস্থান। রাশি এক হলেও নক্ষত্র ইত্যাদি ভেদে ফলাফলের তারতম্যটাই স্বাভাবিক।
অত্যন্ত সূক্ষ্ম বিচার করে ফলাফল লেখা সম্ভব হয় না। প্রত্যেকটা রাশির কোনও একটা নক্ষত্রকে ধরে গড়ে একটা অনুমানভিত্তিক শুভাশুভ ফল লেখা হয়। ফলে কারও ফল মেলে দারুণভাবে, কারও কিছু কিছু, কারও বা একেবারেই নয়।
সব কথা মিলবে, এমনটা ভাববার কোনও কারণ নেই। এখানে রাশির ওপর ভিত্তি করে ভাগ্যফল নিয়ে যা লেখা তা অভিজ্ঞতায় দেখা একটা আভাস মাত্র। এটাই বাস্তব সত্য বলে ধরে নিয়ে চলাটা কোনও কাজের কথা নয়, চলার কারণ আছে বলেও মনে হয় না।