কুম্ভ রাশির সপ্তাহটা কেমন কাটবে, ৯ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪
কুম্ভ রাশির সপ্তাহটা কেমন কাটতে চলেছে, রাশিফল অনুযায়ী প্ল্যানিং করুন এ সপ্তাহে কি কি করনীয় আর কি বর্জনীয়। সাপ্তাহিক রাশিফল ও রাশি অনুযায়ী প্রতিকার।
শনির আনন্দময় স্থান বলা হয়ে থাকে কুম্ভ রাশিকে। দম্ভ অহংকার পরশ্রীকাতরতা এই রাশির জাতক জাতিকাদের চরিত্র বিরুদ্ধ। এগুলির আবির্ভাব ঘটলেই বুঝতে হবে এদের জীবনপ্রবাহ এগিয়ে যাচ্ছে দুর্ভোগময় জীবনের পথে। সাংসারিক সমস্ত দুঃখকে জয় করে যেমন পরমানন্দ লাভ করে, তেমনই অফুরন্ত আনন্দভাবে ভরপুর এই রাশি।
বয়স বৃদ্ধির সঙ্গেই উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পায় অধ্যাত্মচেতনা। সংগ্রামী জীবনের পূর্ণতা আসে মধ্য বয়েসের পর। এরা ঈশ্বরভক্তিপরায়ণ হয়।
যৌনজীবনে সংযমের প্রয়াসী। রাশির উপর অশুভ গ্রহের প্রভাব থাকলে সম্পূর্ণ বৈপরীত্য ঘটে এদের চরিত্রে। যে কোনও নিম্নস্তরের কাজ করতে অন্তরে এতটুকুও হেলদোল নেই। গুছিয়ে সুন্দর মিথ্যা বলায় এদের যেন জুড়ি নেই।
আমার জ্যোতিষশাস্ত্রের শিক্ষাগুরু শ্রীশুকদেব গোস্বামীর গ্রন্থের সাহায্য নিয়ে এই অংশটুকু লেখা হয়েছে। এর সঙ্গে সংযোজন করা হয়েছে নিজের পেশাগত জীবনের বেশ কিছু অভিজ্ঞতার কথা। লেখক চিরকৃতজ্ঞ হয়ে রইল উক্ত গ্রন্থের লেখক ও প্রকাশকের কাছে।সপ্তাহটা কেমন কাটবে : সপ্তাহটা আংশিক অনুকূলে। সম্পূর্ণ সপ্তাহটা অস্থিরতার মধ্যে কাটবে। কমবেশি আর্থিক উন্নতি। সামান্য অর্থাগম। কর্মক্ষেত্র সম্পর্কে দুর্ভাবনা বর্তমান থাকলেও উদ্বেগের মধ্য দিয়ে অর্থাগম হবে। শারীরিক দিক থেকে টুকটাক করে ভুগবেন। নতুন কোনও খবরে উৎসাহিত। কারও সাথে মতবিরোধ ও মনোমালিন্যের সৃষ্টি। অপ্রত্যাশিত অর্থাগম। হঠাৎ কোনও কারণে মনের উপর চাপ সৃষ্টি। ভালো কথাও খারাপ লাগবে। অপ্রত্যাশিত কোনও সুযোগ লাভ। কোনও নতুন যোগাযোগ। সামান্য ব্যাপারে অশান্তি ও মনোমালিন্য। নতুন দ্রব্যলাভ। কোন খবর উৎসাহিত। হঠাৎ কোনও ব্যাপারে মানসিক প্রফুল্লতা নষ্ট। পারিবারিক ও স্বজন বিষয়ে উৎকণ্ঠা। কোথাও বেড়াতে যেতে পারেন। জ্বর জ্বর ভাব। অকারণ অতিথি বা পরিচিতের আগমন। অকারণ অর্থ ব্যয়। কর্মক্ষেত্রে উদ্বেগের মধ্যেও আয় বাড়বে। প্রেমপ্রীতির ক্ষেত্রে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হলেও আন্তরিকতা বর্তমান থাকবে, মানসিক আনন্দ।
এখানে যে প্রতিকারগুলি রাশি অনুযায়ী করা হল তা শুধুমাত্র এক বছরের জন্য। প্রতিকারগুলি আমার মনগড়া কোনও কথা নয়। বিভিন্ন সময়ে ভারতের নানা প্রান্তে ভ্রমণকালীন পথচলতি সাধুসঙ্গের সময় লোক-কল্যাণে সাধুদের বলা প্রতিকারগুলিই এখানে করা হল।
কি করলে একটু ভালো থাকবেন : প্রতি শনি ও মঙ্গলবার যেকোনও হনুমান মন্দিরে নিখুঁত যে কোনও একটা সুমিষ্ট ফল আর যে কোনও রঙের সুগন্ধি ফুল দিয়ে প্রণাম করে আসুন। যা মন চায় দক্ষিণা দেবেন। সারা বছর কাজটা করতে পারলে সার্বিক অনেক বাধা বিপত্তির হাত থেকে রক্ষা পাবেন নিশ্চিত।
কি রঙের পোশাক পরবেন : আর্থিক মানসিক সাংসারিক কর্ম ও প্রতিষ্ঠাজীবনে সুন্দরভাবে কাটাতে আকাশি, সাদা, হালকা হলুদ, হালকা সবুজ রঙের পোশাক সর্বাঙ্গীণ অনেক স্বস্তি ও আনন্দ দেবে। বাড়ি ঘরের রং সাদার উপর রাখতে পারেন।
ব্যক্তিগত রাশি অনুসারে ‘ফল’ কতটা মিলবে তা দিয়েই শুরু করা যাক। এখানে যে ফলাফল লেখা হল তা একেবারেই অনুমানভিত্তিক।
নক্ষত্র ভেদে এক এক জাতক-জাতিকার মানসিক গঠন, চিন্তাভাবনা, চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, জীবনপ্রবাহ এক একরকম হয়ে থাকে; এর সঙ্গে থাকে জন্মকালীন রাশিচক্রে শুভাশুভ গ্রহের অবস্থান। রাশি এক হলেও নক্ষত্র ইত্যাদি ভেদে ফলাফলের তারতম্যটাই স্বাভাবিক।
অত্যন্ত সূক্ষ্ম বিচার করে ফলাফল লেখা সম্ভব হয় না। প্রত্যেকটা রাশির কোনও একটা নক্ষত্রকে ধরে গড়ে একটা অনুমানভিত্তিক শুভাশুভ ফল লেখা হয়। ফলে কারও ফল মেলে দারুণভাবে, কারও কিছু কিছু, কারও বা একেবারেই নয়।
সব কথা মিলবে, এমনটা ভাববার কোনও কারণ নেই। এখানে রাশির ওপর ভিত্তি করে ভাগ্যফল নিয়ে যা লেখা তা অভিজ্ঞতায় দেখা একটা আভাস মাত্র। এটাই বাস্তব সত্য বলে ধরে নিয়ে চলাটা কোনও কাজের কথা নয়, চলার কারণ আছে বলেও মনে হয় না।