Horoscope

মেষ রাশির বুধবার বর্ষবরণের দিনটা কেমন কাটবে ও শুভ সময়, ১ জানুয়ারি, ২০২৫

মেষ রাশির আজকের দিনটা কেমন কাটতে চলেছে, রাশিফল ও দৈনিক সময়সূচী অনুযায়ী প্ল্যানিং করুন আজ কি কি করনীয় আর কি বর্জনীয়। দৈনিক রাশিফল, রাশি অনুযায়ী প্রতিকার ও দৈনিক সময়সূচী।

আত্মপোলব্ধি এক অদম্য শক্তিতে ভরপুর এ রাশি। মেষ রাশির অধিপতি সেনাপতি মঙ্গল। ক্ষাত্রশক্তি থেকে উদ্ভূত ক্ষমতা এই রাশিতে বর্তমান। তাই পুরুষোচিত বীর ধর্মের বিকাশের ফলে মেষ রাশির জাতক জাতিকাদের জীবনযুদ্ধে পরাজিত হয়ে ফিরে আসার হীন প্রবৃত্তি নেই। তবে ক্ষেত্রবিশেষে নির্মম নিয়তির অমোঘ হাতছানিকেও অস্বীকার করতে পারে না।

মানুষের চরিত্রে তমো ও রজোগুণের প্রাবল্য বেশি, সত্ত্বগুণকে যতই আশ্রয় করুক না কেন। তাই মেষ রাশির মন যত উদার উন্নত হোক না কেন, এ প্রকাশ বাহ্যিক, একেবারে অন্তরের নয়, আন্তরিক নয়। স্বার্থে এতটুকু আঘাত লাগলে স্বভাবে এরা ভয়ংকর হয়ে ওঠে। চট করে এরা ধরা পড়ে না, বেশ কিছুদিন মেলামেশা করলে কথাবার্তা আনন্দ উল্লাসের মধ্যে দিয়ে এই রাশির জাতক জাতিকাদের প্রকৃত চরিত্র ধরা পড়ে। তখন বুঝতে পেরে সরেও পড়ে পরিচিতের কাছ থেকে।


প্রথম অবস্থায় স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নশীল। যৌবনে আনন্দে উল্লসিত মন পরবর্তী সময়ে নানান শুভাশুভ কাজের মধ্যে দিয়ে বরণ করে নেয় জীবন সংগ্রামের বলিষ্ঠ পথকে।

আমার জ্যোতিষশাস্ত্রের শিক্ষাগুরু শ্রীশুকদেব গোস্বামীর গ্রন্থের সাহায্য নিয়ে এই অংশটুকু লেখা হয়েছে। এর সঙ্গে সংযোজন করা হয়েছে নিজের পেশাগত জীবনের বেশ কিছু অভিজ্ঞতার কথা। লেখক চিরকৃতজ্ঞ হয়ে রইল উক্ত গ্রন্থের লেখক ও প্রকাশকের কাছে।আজ দিনটা কেমন কাটবে : মনের উপর চাপ বৃদ্ধি। কারও কাছে অবিশ্বাসী ও অপমানিত হতে পারেন। শারীরিক, মানসিক, পারিবারিক, আর্থিক, কর্ম ও আয়ের ক্ষেত্র বিশেষ উদ্বেগসূচক। বর্তমানে সর্বাঙ্গীণ বিবেচনা করে প্রতিটি কর্মে আত্মনিয়োগ করা উচিত। আইনগত ঝামেলা এড়িয়ে চলুন। কারও সাথে অযথা বাদানুবাদ ও ঝগড়ার সৃষ্টি হবে। কোনও ঘটনা মনের উপর আঘাত আনবে। কোনও কর্মে অর্থ ব্যয়। হঠাৎ কোনও যোগাযোগ লক্ষণীয় হয়ে উঠতে পারে। কর্মক্ষেত্র টানাপোড়নের মধ্য দিয়ে চলবে। প্রেমিক প্রেমিকাদের প্রেমে ফাটল ধরতে পারে।

প্রতিদিন সারাদিনের মধ্যে মাঝে মাঝে কিছুটা ভালো সময় থাকে। যে সময়টা শুভকাজের পক্ষে শুভদায়ক। সেই সময়ের মধ্যে শুভকাজ করলে শুভই হবে একথা জোর দিয়ে বলা যায়না। কারণ বিভিন্ন রাশি গ্রহ নক্ষত্র ইত্যাদির উপর শুভ ফলের মাত্রা কমবেশি হয়ে থাকে। তবুও কিছুটা শুভ ফল আশা করা যায়। যেমন অমৃতযোগ ও মাহেন্দ্রযোগ।

এই যোগে যেকোনও শুভকাজে বেরলে সাধারণভাবে শুভ ফললাভ হয়ে থাকে। যেমন চাকরির পরীক্ষা, কোথাও যাত্রা, কোনও শুভকাজে যাওয়া, পরীক্ষা, বাড়ি কেনাবেচা ইত্যাদি যেকোনও এই কাজ অমৃতযোগ ও মাহেন্দ্রযোগে করলে শুভ ফল পাওয়া যেতে পারে।

আরেকটা হল বারবেলা, কালবেলা ও কালরাত্রি। এই সময় যেকোনও শুভকাজ নিষ্ফলই হয়ে থাকে। সুতরাং আনুমানিক সময় ধরে কাজ করলে ভাল ফল আশা করা যেতে পারে।

আজকের সময়সূচী :


অমৃতযোগ : সকাল ৭টা ৩ মিনিটের মধ্যে। পুনরায় ৭টা ৪৬ মিনিট থেকে ৮টা ২৮ মিনিটের মধ্যে। পুনরায় ১০টা ৩৬ মিনিট থেকে ১২টা ৪৩ মিনিটের মধ্যে। পুনরায় রাত্রি ৫টা ৫২ মিনিট থেকে ৬টা ৪৫ মিনিটের মধ্যে। পুনরায় রাত্রি ৮টা ৩২ মিনিট থেকে ৩টে ৪০ মিনিটের মধ্যে।
মাহেন্দ্রযোগ : সকাল ৭টা ৩ মিনিট থেকে ৭টা ৪৬ মিনিটের মধ্যে। দুপুর ১টা ২৬ মিনিট থেকে ৩টে ৩৩ মিনিটের মধ্যে।
বারবেলা : সকাল ৯টা ০ মিনিট থেকে ১০টা ২০ মিনিটের মধ্যে। পুনরায় ১১টা ৩৯ মিনিট থেকে ১টা ০ মিনিটের মধ্যে।
কালরাত্রি : দুপুর ৩টে ১ মিনিট থেকে ৪টে ৪১ মিনিটের মধ্যে।

এখানে যে প্রতিকারগুলি রাশি অনুযায়ী করা হল তা শুধুমাত্র এক বছরের জন্য। প্রতিকারগুলি আমার মনগড়া কোনও কথা নয়। বিভিন্ন সময়ে ভারতের নানা প্রান্তে ভ্রমণকালীন পথচলতি সাধুসঙ্গের সময় লোক-কল্যাণে সাধুদের বলা প্রতিকারগুলিই এখানে করা হল।

কি করলে একটু ভালো থাকবেন : প্রতি মঙ্গল ও শনিবার নিত্য পুজো হয় এমন হনুমান মন্দিরে একটা চাঁপা ফুল, না পেলে জবা আর সুমিষ্ট পাকা ফল যা মন চায় নিয়ে পুজো দিন, দেখবেন দারুণভাবে বিপদআপদ থেকে রক্ষা পাবেন। সংসার ও প্রতিষ্ঠা জীবনের দুর্ভোগও কাটবে অপ্রত্যাশিতভাবে।

কি রঙের পোশাক পরবেন : সারা বছর ভালো থাকতে যতটা সম্ভব হালকা লাল, গোলাপি, হালকা নীল বা আকাশি রঙের পোশাক ব্যবহার করতে পারেন। সাদাও চলবে। যে ঘর বেশি ব্যবহার করেন সে ঘরের বা বাড়ির রং উক্ত রঙের যে কোনও একটা করলে দেহ, মন সার্বিক ভালোই হবে।

এবার ব্যক্তিগত রাশি অনুসারে ‘ফল’ কতটা মিলবে সে বিষয়টি খোলসা করে বলা যাক। এখানে যে ফলাফল লেখা হল তা একেবারেই অনুমানভিত্তিক।

নক্ষত্র ভেদে এক এক জাতক-জাতিকার মানসিক গঠন, চিন্তাভাবনা, চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, জীবনপ্রবাহ এক একরকম হয়ে থাকে; এর সঙ্গে থাকে জন্মকালীন রাশিচক্রে শুভাশুভ গ্রহের অবস্থান। রাশি এক হলেও নক্ষত্র ইত্যাদি ভেদে ফলাফলের তারতম্যটাই স্বাভাবিক।

অত্যন্ত সূক্ষ্ম বিচার করে ফলাফল লেখা সম্ভব হয় না। প্রত্যেকটা রাশির কোনও একটা নক্ষত্রকে ধরে গড়ে একটা অনুমানভিত্তিক শুভাশুভ ফল লেখা হয়। ফলে কারও ফল মেলে দারুণভাবে, কারও কিছু কিছু, কারও বা একেবারেই নয়।

সব কথা মিলবে, এমনটা ভাববার কোনও কারণ নেই। এখানে রাশির ওপর ভিত্তি করে ভাগ্যফল নিয়ে যা লেখা তা অভিজ্ঞতায় দেখা একটা আভাস মাত্র। এটাই বাস্তব সত্য বলে ধরে নিয়ে চলাটা কোনও কাজের কথা নয়, চলার কারণ আছে বলেও মনে হয় না।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *