মিথুন রাশির রবিবার দিনটা কেমন কাটবে ও শুভ সময়, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪
মিথুন রাশির আজকের দিনটা কেমন কাটতে চলেছে, রাশিফল ও দৈনিক সময়সূচী অনুযায়ী প্ল্যানিং করুন আজ কি কি করনীয় আর কি বর্জনীয়। দৈনিক রাশিফল, রাশি অনুযায়ী প্রতিকার ও দৈনিক সময়সূচী।
এই রাশির জাতক জাতিকারা তমোগুণাশ্রিত। মন এদের উদার, উন্নত নয়। জীবনে একদিকে যৌবনচিত কর্মচাঞ্চল্য, অন্যদিকে তেমন অপরিণত বুদ্ধির বিকাশ। এই রাশির স্বপ্নসৌধ প্রায়ই ভেঙে চুরমার হয়ে যায় নিদারুণ নির্মম বাস্তবতার আঘাতে। দূরঅভিসন্ধিমূলক কাজে বেশি আনন্দ পায়। ব্যবসা সংক্রান্ত বুদ্ধি এদের প্রশংসনীয়।
মৌলিক জ্ঞানের চেয়ে পাণ্ডিত্য বেশি। তর্কে পেরে ওঠা কঠিন। মিথ্যা কথায় মেষ রাশির মত পটু। স্বভাব চঞ্চল বলে একাধিকবার প্রেমে পড়ে। কোনও প্রেমই দীর্ঘস্থায়ী রাখতে পারে না।
মিথুন রাশির জাতক জাতিকাদের কথার সঙ্গে কাজের সঙ্গতি প্রায়ই পাওয়া যায় না। এরা বিশ্বাস করে ঠকে। অন্যের কথায় প্রভাবিত হয়। এদের যেকোনও ভাবে পরিচিতি বেশি।
আমার জ্যোতিষশাস্ত্রের শিক্ষাগুরু শ্রীশুকদেব গোস্বামীর গ্রন্থের সাহায্য নিয়ে এই অংশটুকু লেখা হয়েছে। এর সঙ্গে সংযোজন করা হয়েছে নিজের পেশাগত জীবনের বেশ কিছু অভিজ্ঞতার কথা। লেখক চিরকৃতজ্ঞ হয়ে রইল উক্ত গ্রন্থের লেখক ও প্রকাশকের কাছে।আজ দিনটা কেমন কাটবে : মন ও কর্মক্ষেত্রের দিক থেকে একটা অতৃপ্তি বোধ দেখা দেবে। তবে পূর্বের তুলনায় আয় বৃদ্ধি ও আর্থিক যোগাযোগ অক্ষুণ্ণ থাকবে। উৎসাহ বর্দ্ধক কোনও সংবাদ কিংবা যোগাযোগ আসবে। অযাচিত অর্থ কিংবা দ্রব্য লাভ হবে। স্পষ্টবাদিতা ও জেদি মনোভাব অন্যের সমালোচনার খোরাক করতে পারে। কর্মক্ষেত্রে কোনও ব্যাপারে মতবিরোধ দেখা দিতে পারে। শরীর সম্পর্কে সতর্ক থাকুন। প্রেমিক প্রেমিকাদের প্রছন্ন দুশ্চিন্তায় মন আচ্ছন্ন থাকবে।
প্রতিদিন সারাদিনের মধ্যে মাঝে মাঝে কিছুটা ভালো সময় থাকে। যে সময়টা শুভকাজের পক্ষে শুভদায়ক। সেই সময়ের মধ্যে শুভকাজ করলে শুভই হবে একথা জোর দিয়ে বলা যায়না। কারণ বিভিন্ন রাশি গ্রহ নক্ষত্র ইত্যাদির উপর শুভ ফলের মাত্রা কমবেশি হয়ে থাকে। তবুও কিছুটা শুভ ফল আশা করা যায়। যেমন অমৃতযোগ ও মাহেন্দ্রযোগ।
এই যোগে যেকোনও শুভকাজে বেরলে সাধারণভাবে শুভ ফললাভ হয়ে থাকে। যেমন চাকরির পরীক্ষা, কোথাও যাত্রা, কোনও শুভকাজে যাওয়া, পরীক্ষা, বাড়ি কেনাবেচা ইত্যাদি যেকোনও এই কাজ অমৃতযোগ ও মাহেন্দ্রযোগে করলে শুভ ফল পাওয়া যেতে পারে।
আরেকটা হল বারবেলা, কালবেলা ও কালরাত্রি। এই সময় যেকোনও শুভকাজ নিষ্ফলই হয়ে থাকে। সুতরাং আনুমানিক সময় ধরে কাজ করলে ভাল ফল আশা করা যেতে পারে।
আজকের সময়সূচী :
অমৃতযোগ : সকাল ৬টা ৫৪ মিনিট থেকে ৯টা ১ মিনিটের মধ্যে। পুনরায় ১১টা ৫২ মিনিট থেকে ২টো ৪২ মিনিটের মধ্যে। পুনরায় রাত্রি ৭টা ৩০ মিনিট থেকে ৯টা ১৭ মিনিটের মধ্যে। পুনরায় রাত্রি ১১টা ৫৮ মিনিট থেকে ১টা ৪৪ মিনিটের মধ্যে। পুনরায় রাত্রি ২টো ৩৮ মিনিট থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত।
মাহেন্দ্রযোগ : দুপুর ৩টে ২৫ মিনিট থেকে ৪টে ৭ মিনিটের মধ্যে।
বারবেলা : সকাল ১০টা ১২ মিনিট থেকে ১২টা ৫১ মিনিটের মধ্যে।
কালরাত্রি : দুপুর ১টা ১১ মিনিট থেকে ২টো ৫১ মিনিটের মধ্যে।
এখানে যে প্রতিকারগুলি রাশি অনুযায়ী করা হল তা শুধুমাত্র এক বছরের জন্য। প্রতিকারগুলি আমার মনগড়া কোনও কথা নয়। বিভিন্ন সময়ে ভারতের নানা প্রান্তে ভ্রমণকালীন পথচলতি সাধুসঙ্গের সময় লোক-কল্যাণে সাধুদের বলা প্রতিকারগুলিই এখানে করা হল।
কি করলে একটু ভালো থাকবেন : একটা মহালক্ষ্মীর ফটো সংগ্রহ করে যে কোনও বৃহস্পতিবার থেকে পুজো শুরু করতে পারেন। পুজো বলতে প্রতিদিন স্নানের পর (খেয়ে বা না খেয়ে) দুটো ধূপকাঠি দিয়ে আরতি করে তিনবার স্পর্শ প্রণাম করবেন। একটু জল মিষ্টি দেবেন। কাজটা করতে পারলে সার্বিক অশেষ কল্যাণ হবে।
কি রঙের পোশাক পরবেন : হালকা আকাশি, হালকা সবুজ ও হালকা লাল পোশাক এই রাশির পক্ষে লাভদায়ক। সারাদিন, প্রতিদিন ব্যবহার করলে দিন কাটবে মানসিক স্বাচ্ছন্দ্যে। অধিকাংশ কাজে আসবে সাফল্য। স্বভাবসুলভ মনের অস্থিরতা কমবে। যতটা সম্ভব কালো, খয়েরি বা গাঢ় রঙের পোশাক ব্যবহার না করাই ভালো।
এবার ব্যক্তিগত রাশি অনুসারে ‘ফল’ কতটা মিলবে সে বিষয়টি খোলসা করে বলা যাক। এখানে যে ফলাফল লেখা হল তা একেবারেই অনুমানভিত্তিক।
নক্ষত্র ভেদে এক এক জাতক-জাতিকার মানসিক গঠন, চিন্তাভাবনা, চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, জীবনপ্রবাহ এক একরকম হয়ে থাকে; এর সঙ্গে থাকে জন্মকালীন রাশিচক্রে শুভাশুভ গ্রহের অবস্থান। রাশি এক হলেও নক্ষত্র ইত্যাদি ভেদে ফলাফলের তারতম্যটাই স্বাভাবিক।
অত্যন্ত সূক্ষ্ম বিচার করে ফলাফল লেখা সম্ভব হয় না। প্রত্যেকটা রাশির কোনও একটা নক্ষত্রকে ধরে গড়ে একটা অনুমানভিত্তিক শুভাশুভ ফল লেখা হয়। ফলে কারও ফল মেলে দারুণভাবে, কারও কিছু কিছু, কারও বা একেবারেই নয়।
সব কথা মিলবে, এমনটা ভাববার কোনও কারণ নেই। এখানে রাশির ওপর ভিত্তি করে ভাগ্যফল নিয়ে যা লেখা তা অভিজ্ঞতায় দেখা একটা আভাস মাত্র। এটাই বাস্তব সত্য বলে ধরে নিয়ে চলাটা কোনও কাজের কথা নয়, চলার কারণ আছে বলেও মনে হয় না।