মিথুন রাশির সপ্তাহটা কেমন কাটবে, ২ ডিসেম্বর থেকে ৮ ডিসেম্বর, ২০২৪
মিথুন রাশির সপ্তাহটা কেমন কাটতে চলেছে, রাশিফল অনুযায়ী প্ল্যানিং করুন এ সপ্তাহে কি কি করনীয় আর কি বর্জনীয়। সাপ্তাহিক রাশিফল ও রাশি অনুযায়ী প্রতিকার।
এই রাশির জাতক জাতিকারা তমোগুণাশ্রিত। মন এদের উদার, উন্নত নয়। জীবনে একদিকে যৌবনচিত কর্মচাঞ্চল্য, অন্যদিকে তেমন অপরিণত বুদ্ধির বিকাশ। এই রাশির স্বপ্নসৌধ প্রায়ই ভেঙে চুরমার হয়ে যায় নিদারুণ নির্মম বাস্তবতার আঘাতে। দূরঅভিসন্ধিমূলক কাজে বেশি আনন্দ পায়। ব্যবসা সংক্রান্ত বুদ্ধি এদের প্রশংসনীয়।
মৌলিক জ্ঞানের চেয়ে পাণ্ডিত্য বেশি। তর্কে পেরে ওঠা কঠিন। মিথ্যা কথায় মেষ রাশির মত পটু। স্বভাব চঞ্চল বলে একাধিকবার প্রেমে পড়ে। কোনও প্রেমই দীর্ঘস্থায়ী রাখতে পারে না।
মিথুন রাশির জাতক জাতিকাদের কথার সঙ্গে কাজের সঙ্গতি প্রায়ই পাওয়া যায় না। এরা বিশ্বাস করে ঠকে। অন্যের কথায় প্রভাবিত হয়। এদের যেকোনও ভাবে পরিচিতি বেশি।
আমার জ্যোতিষশাস্ত্রের শিক্ষাগুরু শ্রীশুকদেব গোস্বামীর গ্রন্থের সাহায্য নিয়ে এই অংশটুকু লেখা হয়েছে। এর সঙ্গে সংযোজন করা হয়েছে নিজের পেশাগত জীবনের বেশ কিছু অভিজ্ঞতার কথা। লেখক চিরকৃতজ্ঞ হয়ে রইল উক্ত গ্রন্থের লেখক ও প্রকাশকের কাছে।সপ্তাহটা কেমন কাটবে : মানসিক দুশ্চিন্তা বৃদ্ধি ও দৈহিক অস্বস্তি। শরীর নিয়ে বড্ড ভোগান্তি হবে। অভাবনীয় ভাবে কিছু অর্থাগম। কোনও দ্রব্য হারানো কিংবা অর্থক্ষতি। আর্থিক দুর্ভাবনা। সামান্য আঘাত বা রক্তপাত যোগও বর্তমান। পরিবারের কারও সাথে মতবিরোধ। কোনও নিকট আত্মীয়ের সঙ্গে মতবিরোধ। স্বজন বিষয়ে উৎকণ্ঠা ও কারও সহায়তা লাভ। কল্পনাতীত ব্যয় চাপ। কোনও উদ্বেগবর্ধক সংবাদলাভ। কাজকর্মে তেমন উদ্দমতা থাকবে না। কোনও ব্যাপারে মানসিক উত্তেজনা। কোনও শুভ যোগাযোগ। ব্যয় বাড়বে অসম্ভব অথচ আয়ের ক্ষেত্রে ভাটা। কোথাও নিমন্ত্রণ রক্ষা। পুরনো বন্ধুসঙ্গ ও কোনও কাজের জন্য প্রশংসিত। প্রেমে মতবিরোধজনিত অশান্তি, মনোমালিন্য, দুশ্চিন্তা বৃদ্ধি ও বিচ্ছেদপর্ব নেমে আসতে পারে।
এখানে যে প্রতিকারগুলি রাশি অনুযায়ী করা হল তা শুধুমাত্র এক বছরের জন্য। প্রতিকারগুলি আমার মনগড়া কোনও কথা নয়। বিভিন্ন সময়ে ভারতের নানা প্রান্তে ভ্রমণকালীন পথচলতি সাধুসঙ্গের সময় লোক-কল্যাণে সাধুদের বলা প্রতিকারগুলিই এখানে করা হল।
কি করলে একটু ভালো থাকবেন : একটা মহালক্ষ্মীর ফটো সংগ্রহ করে যে কোনও বৃহস্পতিবার থেকে পুজো শুরু করতে পারেন। পুজো বলতে প্রতিদিন স্নানের পর (খেয়ে বা না খেয়ে) দুটো ধূপকাঠি দিয়ে আরতি করে তিনবার স্পর্শ প্রণাম করবেন। একটু জল মিষ্টি দেবেন। কাজটা করতে পারলে সার্বিক অশেষ কল্যাণ হবে।
কি রঙের পোশাক পরবেন : হালকা আকাশি, হালকা সবুজ ও হালকা লাল পোশাক এই রাশির পক্ষে লাভদায়ক। সারাদিন, প্রতিদিন ব্যবহার করলে দিন কাটবে মানসিক স্বাচ্ছন্দ্যে। অধিকাংশ কাজে আসবে সাফল্য। স্বভাবসুলভ মনের অস্থিরতা কমবে। যতটা সম্ভব কালো, খয়েরি বা গাঢ় রঙের পোশাক ব্যবহার না করাই ভালো।
ব্যক্তিগত রাশি অনুসারে ‘ফল’ কতটা মিলবে তা দিয়েই শুরু করা যাক। এখানে যে ফলাফল লেখা হল তা একেবারেই অনুমানভিত্তিক।
নক্ষত্র ভেদে এক এক জাতক-জাতিকার মানসিক গঠন, চিন্তাভাবনা, চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, জীবনপ্রবাহ এক একরকম হয়ে থাকে; এর সঙ্গে থাকে জন্মকালীন রাশিচক্রে শুভাশুভ গ্রহের অবস্থান। রাশি এক হলেও নক্ষত্র ইত্যাদি ভেদে ফলাফলের তারতম্যটাই স্বাভাবিক।
অত্যন্ত সূক্ষ্ম বিচার করে ফলাফল লেখা সম্ভব হয় না। প্রত্যেকটা রাশির কোনও একটা নক্ষত্রকে ধরে গড়ে একটা অনুমানভিত্তিক শুভাশুভ ফল লেখা হয়। ফলে কারও ফল মেলে দারুণভাবে, কারও কিছু কিছু, কারও বা একেবারেই নয়।
সব কথা মিলবে, এমনটা ভাববার কোনও কারণ নেই। এখানে রাশির ওপর ভিত্তি করে ভাগ্যফল নিয়ে যা লেখা তা অভিজ্ঞতায় দেখা একটা আভাস মাত্র। এটাই বাস্তব সত্য বলে ধরে নিয়ে চলাটা কোনও কাজের কথা নয়, চলার কারণ আছে বলেও মনে হয় না।