মীন রাশির বছরের প্রথম সপ্তাহটা কেমন কাটবে, ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি, ২০২৪
মীন রাশির সপ্তাহটা কেমন কাটতে চলেছে, রাশিফল অনুযায়ী প্ল্যানিং করুন এ সপ্তাহে কি কি করনীয় আর কি বর্জনীয়। সাপ্তাহিক রাশিফল ও রাশি অনুযায়ী প্রতিকার।
দেবগণের ঋষি অঙ্গিরার পুত্র দেবগুরু বৃহস্পতি। জ্ঞানযোগী বৃহস্পতির আপন ক্ষেত্র এবং কর্মযোগী ভোগবাদী দৈত্যগুরু শুক্রাচার্যের তুঙ্গক্ষেত্র মীন রাশি। তাই এই রাশির জাতক জাতিকাদের মধ্যে রয়েছে সত্যের পরিচয়, কর্তব্যনিষ্ঠা ও আদর্শবাদের বলিষ্ঠ প্রকাশ। আধ্যাত্মিক অনুভূতিকে এরা চিরন্তন করে রাখতে চায় মনের প্রতিটা স্তরে।
দৈত্যগুরু অন্যদিকে শিক্ষা দিয়েছেন কর্মের মধ্যে দিয়ে লাভ করতে হবে ত্যাগকে। তবে ভোগবাদকে অস্বীকার করে কিছুতেই লাভ করা যায় না ত্যাগবাদকে। চাই ভোগ, সৃষ্টি, আনন্দ, দৈহিক পরিতৃপ্তির জন্য ইন্দ্রিয়সুখ। সত্ত্ব ও রজোগুণের এই বিকাশই প্রস্ফুটিত হয়েছে মীন রাশির জাতক জাতিকার মধ্যে। ধর্ম শুধুমাত্র ত্যাগের নয়, ভোগেরও অধিকার রয়েছে পূর্ণমাত্রায়।
এই রাশি জন্মকুণ্ডলীতে পাপগ্রহ দ্বারা পীড়িত হলে সমস্ত সত্ত্বগুণ নষ্ট হয়ে যায়। তখন ভোগের জন্য ব্যাকুল মন খুঁজে পায় না তার প্রকৃত চরিত্রকে। রাশির উপরে শুভগ্রহের প্রভাব থাকলে জাতক জাতিকাদের মন চরিত্র সংসারজীবন ও অন্যান্য বিষয় সার্থক সুন্দর হয়ে ওঠে সবদিক থেকে।
আমার জ্যোতিষশাস্ত্রের শিক্ষাগুরু শ্রীশুকদেব গোস্বামীর গ্রন্থের সাহায্য নিয়ে এই অংশটুকু লেখা হয়েছে। এর সঙ্গে সংযোজন করা হয়েছে নিজের পেশাগত জীবনের বেশ কিছু অভিজ্ঞতার কথা। লেখক চিরকৃতজ্ঞ হয়ে রইল উক্ত গ্রন্থের লেখক ও প্রকাশকের কাছে।সপ্তাহটা কেমন কাটবে : সামান্য শারীরিক কষ্ট দেখা দিলেও সপ্তাহটা মানসিক আনন্দের মধ্যেই কাটবে। অপ্রত্যাশিত অর্থ কিংবা কোনও দ্রব্য লাভ। ব্যয় চাপ বৃদ্ধি। নতুন সঙ্গ। ছোটখাটো ভ্রমণ। কারও কোন অনুরোধ রক্ষা। ধর্মীয় চিন্তায় কিছুটা সময়াতিপাত। কর্মক্ষেত্রে নতুন যোগাযোগ আসবে। উৎসাহ ও উদ্দীপনাপূর্ণ থাকবে কর্মক্ষেত্র। তবে সামান্য আয় বাড়বে। কোনও ব্যাপারে মানসিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পাবে। কারও পরামর্শে উপকৃত। কোনও কর্মের জন্য প্রশংসা লাভ। কোনও প্রচেষ্টায় সফলকাম। অন্যের গৃহে আতিথ্যগ্রহণ। মন্দির ভ্রমণ হবে। শরীরটা ভালো যাবে না। মনটা অস্থির হয়ে উঠবে। পর সমালোচনার সম্মুখীন। কোনও খবরে উৎসাহিত হবেন। কাছাকাছি কোথাও বেড়ানো। কারও সমালোচনা কিংবা বিরূপ মন্তব্য মনে আঘাত আনবে। কোথাও আমন্ত্রিত। দেবালয় ভ্রমণ। সামান্য আয় বৃদ্ধি। সুনাম ও যশ বৃদ্ধি। মানসিক উত্তেজনা ও অস্থিরতা বৃদ্ধি। অপ্রত্যাশিত আর্থিক যোগাযোগ। প্রেমপ্রীতির ক্ষেত্রে সাময়িক বচসা ও অশান্তি দেখা দিলেও প্রীতির সম্পর্ক আরও আঁটসাঁট হয়ে উঠবে।
এখানে যে প্রতিকারগুলি রাশি অনুযায়ী করা হল তা শুধুমাত্র এক বছরের জন্য। প্রতিকারগুলি আমার মনগড়া কোনও কথা নয়। বিভিন্ন সময়ে ভারতের নানা প্রান্তে ভ্রমণকালীন পথচলতি সাধুসঙ্গের সময় লোক-কল্যাণে সাধুদের বলা প্রতিকারগুলিই এখানে করা হল।
কি করলে একটু ভালো থাকবেন : প্রতি শনিবার সারাদিনের মধ্যে যেকোনও সময় একটা ভিখারিকে খেতে দিন। খাবারটা তৈরি করা, যাতে পেলেই খেতে পারে। যেমন রুটি সবজি, কচুরি, পাউরুটি বা মিষ্টি, এই জাতীয়। সঙ্গে দক্ষিণা কিছু পয়সা। সংসার ও প্রতিষ্ঠা জীবনের অনেক দুর্ভোগ অশান্তি থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন।
কি রঙের পোশাক পরবেন : সার্বিকভাবে নিজেকে সুন্দর ও আনন্দময় রাখতে সাদা আর হলুদের উপর পোশাক বেশি ব্যবহার করতে চেষ্টা করুন। এই রং দুটো অর্থ ও সম্মান বৃদ্ধি করবে। ওই দুটো রঙের যে কোনওটাই বাড়ি ঘরে ব্যবহার করতে পারেন।
ব্যক্তিগত রাশি অনুসারে ‘ফল’ কতটা মিলবে তা দিয়েই শুরু করা যাক। এখানে যে ফলাফল লেখা হল তা একেবারেই অনুমানভিত্তিক।
নক্ষত্র ভেদে এক এক জাতক-জাতিকার মানসিক গঠন, চিন্তাভাবনা, চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, জীবনপ্রবাহ এক একরকম হয়ে থাকে; এর সঙ্গে থাকে জন্মকালীন রাশিচক্রে শুভাশুভ গ্রহের অবস্থান। রাশি এক হলেও নক্ষত্র ইত্যাদি ভেদে ফলাফলের তারতম্যটাই স্বাভাবিক।
অত্যন্ত সূক্ষ্ম বিচার করে ফলাফল লেখা সম্ভব হয় না। প্রত্যেকটা রাশির কোনও একটা নক্ষত্রকে ধরে গড়ে একটা অনুমানভিত্তিক শুভাশুভ ফল লেখা হয়। ফলে কারও ফল মেলে দারুণভাবে, কারও কিছু কিছু, কারও বা একেবারেই নয়।
সব কথা মিলবে, এমনটা ভাববার কোনও কারণ নেই। এখানে রাশির ওপর ভিত্তি করে ভাগ্যফল নিয়ে যা লেখা তা অভিজ্ঞতায় দেখা একটা আভাস মাত্র। এটাই বাস্তব সত্য বলে ধরে নিয়ে চলাটা কোনও কাজের কথা নয়, চলার কারণ আছে বলেও মনে হয় না।