বৃষ রাশির শুক্রবার দিনটা কেমন কাটবে ও শুভ সময়, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪
বৃষ রাশির আজকের দিনটা কেমন কাটতে চলেছে, রাশিফল ও দৈনিক সময়সূচী অনুযায়ী প্ল্যানিং করুন আজ কি কি করনীয় আর কি বর্জনীয়। দৈনিক রাশিফল, রাশি অনুযায়ী প্রতিকার ও দৈনিক সময়সূচী।
অষ্টাদশ সিদ্ধির নায়ক ধারক ও বাহক সর্বশাস্ত্র প্রবক্তা শুক্রাচার্য। শুধু ত্যাগেই ধর্ম হয় না, ভোগের মধ্যে দিয়েই চলে ত্যাগের সন্ধান। কামনা বাসনা পরিত্যাগ করে কখনও বৈরাগ্যের ভিত্তি স্থাপিত হয় না। ভোগবাদী হলেও সত্ত্বগুণাশ্রয়ী শুক্র এ সত্য বুঝেছিলেন। রজোগুণে ভরা শুক্রের প্রভাবাশ্রিত রাশি বৃষ। কর্মযোগী শুক্র। কর্মের ভিতর দিয়ে এ রাশির জাতক জাতিকার চলে আত্মপ্রতিষ্ঠার চেষ্টা।
শুক্রের প্রভাব থাকায় বৃষরাশির জাতক জাতিকাদের মন উদার উন্নত হয়। দুঃখ দুর্দশাকে লাঘব করে অন্তরে নির্মল আনন্দলাভের প্রচেষ্টাই চলে অহরহ।
সাহিত্যে শিল্পে শাস্ত্রানুশীলনে শুভ শুক্রের প্রভাব থাকে বৃষ রাশির জাতক জাতিকাদের মধ্যে। জীবন সংগ্রামে এদের পরাজয় খুব কমই ঘটে।
আমার জ্যোতিষশাস্ত্রের শিক্ষাগুরু শ্রীশুকদেব গোস্বামীর গ্রন্থের সাহায্য নিয়ে এই অংশটুকু লেখা হয়েছে। এর সঙ্গে সংযোজন করা হয়েছে নিজের পেশাগত জীবনের বেশ কিছু অভিজ্ঞতার কথা। লেখক চিরকৃতজ্ঞ হয়ে রইল উক্ত গ্রন্থের লেখক ও প্রকাশকের কাছে।আজ দিনটা কেমন কাটবে : মন ও কর্মক্ষেত্রের দিক থেকে একটা অতৃপ্তি বোধ দেখা দেবে। তবে পূর্বের তুলনায় আয় বৃদ্ধি ও আর্থিক যোগাযোগ অক্ষুণ্ণ থাকবে। উৎসাহ বর্দ্ধক কোনও সংবাদ কিংবা যোগাযোগ আসবে। অযাচিত অর্থ কিংবা দ্রব্য লাভ হবে। স্পষ্টবাদিতা ও জেদি মনোভাব অন্যের সমালোচনার খোরাক করতে পারে। কর্মক্ষেত্রে কোনও ব্যাপারে মতবিরোধ দেখা দিতে পারে। শরীর সম্পর্কে সতর্ক থাকুন। প্রেমিক প্রেমিকাদের প্রছন্ন দুশ্চিন্তায় মন আচ্ছন্ন থাকবে।
প্রতিদিন সারাদিনের মধ্যে মাঝে মাঝে কিছুটা ভালো সময় থাকে। যে সময়টা শুভকাজের পক্ষে শুভদায়ক। সেই সময়ের মধ্যে শুভকাজ করলে শুভই হবে একথা জোর দিয়ে বলা যায়না। কারণ বিভিন্ন রাশি গ্রহ নক্ষত্র ইত্যাদির উপর শুভ ফলের মাত্রা কমবেশি হয়ে থাকে। তবুও কিছুটা শুভ ফল আশা করা যায়। যেমন অমৃতযোগ ও মাহেন্দ্রযোগ।
এই যোগে যেকোনও শুভকাজে বেরলে সাধারণভাবে শুভ ফললাভ হয়ে থাকে। যেমন চাকরির পরীক্ষা, কোথাও যাত্রা, কোনও শুভকাজে যাওয়া, পরীক্ষা, বাড়ি কেনাবেচা ইত্যাদি যেকোনও এই কাজ অমৃতযোগ ও মাহেন্দ্রযোগে করলে শুভ ফল পাওয়া যেতে পারে।
আরেকটা হল বারবেলা, কালবেলা ও কালরাত্রি। এই সময় যেকোনও শুভকাজ নিষ্ফলই হয়ে থাকে। সুতরাং আনুমানিক সময় ধরে কাজ করলে ভাল ফল আশা করা যেতে পারে।
আজকের সময়সূচী :
অমৃতযোগ : সকাল ৭টা ১ মিনিটের মধ্যে। পুনরায় ৭টা ৪৪ মিনিট থেকে ৯টা ৫১ মিনিটের মধ্যে। পুনরায় ১১টা ৫৮ মিনিট থেকে ২টো ৪৯ মিনিটের মধ্যে। পুনরায় ৩টে ৩১ মিনিট থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত। পুনরায় রাত্রি ৫টা ৫০ মিনিট থেকে ৯টা ২৪ মিনিট পর্যন্ত। পুনরায় রাত্রি ১২টা ৫ মিনিট থেকে ৩টে ৩৯ মিনিটের মধ্যে। পুনরায় রাত্রি ৪টে ৩২ মিনিট থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত।
বারবেলা : সকাল ৮টা ৫৮ মিনিট থেকে ১১টা ৩৭ মিনিটের মধ্যে।
কালরাত্রি : সকাল ৮টা ১৬ মিনিট থেকে ৯টা ৫৭ মিনিটের মধ্যে।
এখানে যে প্রতিকারগুলি রাশি অনুযায়ী করা হল তা শুধুমাত্র এক বছরের জন্য। প্রতিকারগুলি আমার মনগড়া কোনও কথা নয়। বিভিন্ন সময়ে ভারতের নানা প্রান্তে ভ্রমণকালীন পথচলতি সাধুসঙ্গের সময় লোক-কল্যাণে সাধুদের বলা প্রতিকারগুলিই এখানে করা হল।
কি করলে একটু ভালো থাকবেন : প্রতি শনি ও মঙ্গলবার আপনার মুখের এঁটো করা খাবার সারা দিনে একবার একটু কাককে খেতে দেবেন। গোটা বছরে আপনার দেহ মন সংসার ও প্রতিষ্ঠা জীবনে যে সব অসুবিধা ও ভোগান্তি বিব্রত করত, তার বহুলাংশেই নিবৃত্তি এনে আপনাকে অনেক স্বস্তি দেবে।
কি রঙের পোশাক পরবেন : সাদা, একেবারে উজ্জ্বল হাল্কা আকাশি পোশাক চলবে। বিশেষ করে সাদা রঙ দেহ মন সংসার প্রতিষ্ঠা ও যে কোনও শুভ কর্মের ক্ষেত্রে শুভপ্রদ। প্রচেষ্টায় সাফল্য ও মানসিক আনন্দ বাড়বে। বাড়ি ঘরের রং সাদা রাখলে একই ফল হবে।
এবার ব্যক্তিগত রাশি অনুসারে ‘ফল’ কতটা মিলবে সে বিষয়টি খোলসা করে বলা যাক। এখানে যে ফলাফল লেখা হল তা একেবারেই অনুমানভিত্তিক।
নক্ষত্র ভেদে এক এক জাতক-জাতিকার মানসিক গঠন, চিন্তাভাবনা, চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, জীবনপ্রবাহ এক একরকম হয়ে থাকে; এর সঙ্গে থাকে জন্মকালীন রাশিচক্রে শুভাশুভ গ্রহের অবস্থান। রাশি এক হলেও নক্ষত্র ইত্যাদি ভেদে ফলাফলের তারতম্যটাই স্বাভাবিক।
অত্যন্ত সূক্ষ্ম বিচার করে ফলাফল লেখা সম্ভব হয় না। প্রত্যেকটা রাশির কোনও একটা নক্ষত্রকে ধরে গড়ে একটা অনুমানভিত্তিক শুভাশুভ ফল লেখা হয়। ফলে কারও ফল মেলে দারুণভাবে, কারও কিছু কিছু, কারও বা একেবারেই নয়।
সব কথা মিলবে, এমনটা ভাববার কোনও কারণ নেই। এখানে রাশির ওপর ভিত্তি করে ভাগ্যফল নিয়ে যা লেখা তা অভিজ্ঞতায় দেখা একটা আভাস মাত্র। এটাই বাস্তব সত্য বলে ধরে নিয়ে চলাটা কোনও কাজের কথা নয়, চলার কারণ আছে বলেও মনে হয় না।