কন্যা রাশির বৃহস্পতিবার দিনটা কেমন কাটবে ও শুভ সময়, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪
কন্যা রাশির আজকের দিনটা কেমন কাটতে চলেছে, রাশিফল ও দৈনিক সময়সূচী অনুযায়ী প্ল্যানিং করুন আজ কি কি করনীয় আর কি বর্জনীয়। দৈনিক রাশিফল, রাশি অনুযায়ী প্রতিকার ও দৈনিক সময়সূচী।
এই রাশির অধিপতি গ্রহ বুধ। ভাবাবেগের রাশি। উক্ত রাশির জাতক জাতিকাদের মুখশ্রীতে প্রতিফলিত রয়েছে সৌম্যভাব। স্মৃতিশক্তির প্রখরতায় এরা অনেক বিষয়ই কণ্ঠস্থ করতে সমর্থ হয়। এদের চরিত্রের মধ্যে নির্মল নির্লোভ কমনীয়তা থাকে তাই খুব সহজেই শত্রুকে বশীভূত করতে সক্ষম হয়।
এই রাশির প্রেমাবেদন থাকে অতিমাত্রায়। বিপরীত লিঙ্গকে দ্রুত আকর্ষণ করতে পারে। বিবাহ প্রায়ই অসবর্ণ পরিচিতের মধ্যে হয়ে থাকে। সরলতার মধ্যে রয়েছে আত্মবিশ্বাস ও মানসিক সংযম।
নিজ প্রচেষ্টা এবং অন্যের সহায়তা এ দুইয়ের মিলনে আসে প্রতিষ্ঠা। স্বভাবে বুধ তমোধর্মী তাই এ রাশি বৈরাগ্যকে আশ্রয় করে এগিয়ে চলতে চায় না। ভালোবেসে বিয়ে করলেও স্বামী ও স্ত্রী প্রায়ই মনোমতো হয় না। সংগীত সাহিত্য শিল্পের প্রতি আকর্ষণ যেন সহজাত।
আমার জ্যোতিষশাস্ত্রের শিক্ষাগুরু শ্রীশুকদেব গোস্বামীর গ্রন্থের সাহায্য নিয়ে এই অংশটুকু লেখা হয়েছে। এর সঙ্গে সংযোজন করা হয়েছে নিজের পেশাগত জীবনের বেশ কিছু অভিজ্ঞতার কথা। লেখক চিরকৃতজ্ঞ হয়ে রইল উক্ত গ্রন্থের লেখক ও প্রকাশকের কাছে।আজ দিনটা কেমন কাটবে : দিনের অধিকাংশ সময় মানসিক দিক থেকে বিব্রতবোধ করবেন। কোনও প্রচেষ্টা বিফল হবে। কর্ম পরিবেশ ও শ্রীর মেজাজ নষ্ট করবে। নতুন কোনও দ্রব্য কেনাকাটা ও অপ্রত্যাশিত কিছু অর্থ হাতে আসবে। কারও সাথে কথা কাটাকাটি ও মতবিরোধ দেখা দেবে। কোনও আত্মীয়ের ব্যাপারে উৎকণ্ঠার সৃষ্টি হবে। কোনও সুসংবাদ পাবেন। অন্যের গৃহে ভোজন পর্ব শেষ করতে হবে। ন্যায্য প্রাপ্তিতে বঞ্চিত হবেন। নতুন যোগাযোগ আসবে। কোনও বয়স্ক ব্যক্তির সাহায্য পাবেন। হঠাৎ ভ্রমণ হবে। প্রেমপ্রীতির ক্ষেত্রে কিছুটা মানসিক চাপ কমবে। কোনও ভ্রাতার সাথে মতবিরোধ হবে। কোনও অভিযোগ মানসিক শান্তি বিঘ্নিত করবে। কোনও দ্রব্য অথবা অর্থলাভ হবে।
প্রতিদিন সারাদিনের মধ্যে মাঝে মাঝে কিছুটা ভালো সময় থাকে। যে সময়টা শুভকাজের পক্ষে শুভদায়ক। সেই সময়ের মধ্যে শুভকাজ করলে শুভই হবে একথা জোর দিয়ে বলা যায়না। কারণ বিভিন্ন রাশি গ্রহ নক্ষত্র ইত্যাদির উপর শুভ ফলের মাত্রা কমবেশি হয়ে থাকে। তবুও কিছুটা শুভ ফল আশা করা যায়। যেমন অমৃতযোগ ও মাহেন্দ্রযোগ।
এই যোগে যেকোনও শুভকাজে বেরলে সাধারণভাবে শুভ ফললাভ হয়ে থাকে। যেমন চাকরির পরীক্ষা, কোথাও যাত্রা, কোনও শুভকাজে যাওয়া, পরীক্ষা, বাড়ি কেনাবেচা ইত্যাদি যেকোনও এই কাজ অমৃতযোগ ও মাহেন্দ্রযোগে করলে শুভ ফল পাওয়া যেতে পারে।
আরেকটা হল বারবেলা, কালবেলা ও কালরাত্রি। এই সময় যেকোনও শুভকাজ নিষ্ফলই হয়ে থাকে। সুতরাং আনুমানিক সময় ধরে কাজ করলে ভাল ফল আশা করা যেতে পারে।
আজকের সময়সূচী :
অমৃতযোগ : সকাল ৭টা ৪৩ মিনিটের মধ্যে। পুনরায় ১টা ২৩ মিনিট থেকে ২টো ৪৮ মিনিটের মধ্যে। পুনরায় রাত্রি ৫টা ৪৯ মিনিট থেকে ৯টা ২৩ মিনিট পর্যন্ত। পুনরায় রাত্রি ১২টা ৪ মিনিট থেকে ৩টে ৩৮ মিনিটের মধ্যে। পুনরায় রাত্রি ৪টে ৩২ মিনিট থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত।
বারবেলা : ২টো ১৬ মিনিট থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত।
কালরাত্রি : ১১টা ৩৮ মিনিট থেকে ১টা ১৮ মিনিটের মধ্যে।
এখানে যে প্রতিকারগুলি রাশি অনুযায়ী করা হল তা শুধুমাত্র এক বছরের জন্য। প্রতিকারগুলি আমার মনগড়া কোনও কথা নয়। বিভিন্ন সময়ে ভারতের নানা প্রান্তে ভ্রমণকালীন পথচলতি সাধুসঙ্গের সময় লোক-কল্যাণে সাধুদের বলা প্রতিকারগুলিই এখানে করা হল।
কি করলে একটু ভালো থাকবেন : সম্ভব হলে প্রতি শনিবার নটা সাদা ফুল (টগর বাদে) আর কলা বাদে একটা ফল যে কোনও প্রতিষ্ঠিত কালীমন্দিরে সকাল থেকে রাতের মধ্যে যখন সময় পাবেন, দক্ষিণা সমেত দিয়ে চলে আসুন। কাজটা সমানে করতে থাকুন। সংসার ও প্রতিষ্ঠা জীবনের সার্বিক কল্যাণ তো হবেই, দেহমনের অনেক স্বস্তি আসবে।
কি রঙের পোশাক পরবেন : কন্যা রাশির জাতক জাতিকাদের জন্য হালকা আকাশি, হালকা সবুজ, হালকা হলুদ আর সাদা পোশাক অত্যন্ত শুভদায়ক। বাড়িঘরের রঙের মধ্যে থেকে একটা পছন্দ করতে পারেন।
এবার ব্যক্তিগত রাশি অনুসারে ‘ফল’ কতটা মিলবে সে বিষয়টি খোলসা করে বলা যাক। এখানে যে ফলাফল লেখা হল তা একেবারেই অনুমানভিত্তিক।
নক্ষত্র ভেদে এক এক জাতক-জাতিকার মানসিক গঠন, চিন্তাভাবনা, চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, জীবনপ্রবাহ এক একরকম হয়ে থাকে; এর সঙ্গে থাকে জন্মকালীন রাশিচক্রে শুভাশুভ গ্রহের অবস্থান। রাশি এক হলেও নক্ষত্র ইত্যাদি ভেদে ফলাফলের তারতম্যটাই স্বাভাবিক।
অত্যন্ত সূক্ষ্ম বিচার করে ফলাফল লেখা সম্ভব হয় না। প্রত্যেকটা রাশির কোনও একটা নক্ষত্রকে ধরে গড়ে একটা অনুমানভিত্তিক শুভাশুভ ফল লেখা হয়। ফলে কারও ফল মেলে দারুণভাবে, কারও কিছু কিছু, কারও বা একেবারেই নয়।
সব কথা মিলবে, এমনটা ভাববার কোনও কারণ নেই। এখানে রাশির ওপর ভিত্তি করে ভাগ্যফল নিয়ে যা লেখা তা অভিজ্ঞতায় দেখা একটা আভাস মাত্র। এটাই বাস্তব সত্য বলে ধরে নিয়ে চলাটা কোনও কাজের কথা নয়, চলার কারণ আছে বলেও মনে হয় না।