Horoscope

মেষ রাশির ১৪৩০ বাংলা বছরটা কেমন কাটবে

১৪৩০ সালের ১ বৈশাখ থেকে চৈত্র সংক্রান্তি পর্যন্ত মেষ রাশির মোটামুটি বছরটা কেমন যাবে তার সম্ভাব্য ফলাফল লিখতে চেষ্টা করেছি।

দেহ মন সংসার জীবন প্রায়ই বিব্রত করে রাখবে। কর্মক্ষেত্র থাকবে স্বস্তিহীন। ব্যবসায়ীদের পক্ষে বছরটা কাটবে নানা উদ্বেগের মধ্যে দিয়ে। কোনও ঝুঁকিপূর্ণ কাজে আত্মনিয়োগ না করলেই ভালো।

পেশায় নিযুক্তদের পক্ষে বছরটা কাটবে অস্বস্তির মধ্যে দিয়ে। অপ্রত্যাশিত আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনা। বিবাহিতদের মতবিরোধজনিত অশান্তিতে প্রায়ই মানসিক শান্তি বিঘ্নিত হবে। পায়ে বড় আঘাত লাগা বা  মচকাতে পারে।

প্রেমিক প্রেমিকাদের প্রেমপ্রীতিতে সাময়িক ফাটল ধরতে পারে। নতুন প্রেমের ক্ষেত্রে  যোগাযোগ বাড়লেও তা অসাফল্যের। কোথাও বেড়াতে যেতে পারেন।

মেষ লগ্নের পক্ষে সময়টা শুভ নয়। সারাবছর দেহমনের উপর চাপ একটা থেকেই যাবে।

এখানে যে প্রতিকার করা হল তা শুধুমাত্র একবছরের জন্য পালন করতে হবে। কাচা লোহার একটা আংটি যে কোনও শনিবার রাহুর বীজ মন্ত্রে ১১ বার শোধন করে বাঁ হাতের মধ্যমায় পড়বেন। যে কোনও নবগ্রহ মন্দিরেই শোধন করা যাবে। এই কাজ করলে সারা বছর অনেকটাই ভাল থাকবেন।

আত্মপোলব্ধি এক অদম্য শক্তিতে ভরপুর এ রাশি। মেষ রাশির অধিপতি সেনাপতি মঙ্গল। ক্ষাত্রশক্তি থেকে উদ্ভূত ক্ষমতা এই রাশিতে বর্তমান।

তাই পুরুষোচিত বীর ধর্মের বিকাশের ফলে মেষ রাশির জাতক জাতিকাদের জীবনযুদ্ধে পরাজিত হয়ে ফিরে আসার হীন প্রবৃত্তি নেই। তবে ক্ষেত্রবিশেষে নির্মম নিয়তির অমোঘ হাতছানিকেও অস্বীকার করতে পারে না।

মানুষের চরিত্রে তমো ও রজোগুণের প্রাবল্য বেশি, সত্ত্বগুণকে যতই আশ্রয় করুক না কেন। তাই মেষ রাশির মন যত উদার উন্নত হোক না কেন, এ প্রকাশ বাহ্যিক, একেবারে অন্তরের নয়, আন্তরিক নয়।

স্বার্থে এতটুকু আঘাত লাগলে স্বভাবে এরা ভয়ংকর হয়ে ওঠে। চট করে এরা ধরা পড়ে না, বেশ কিছুদিন মেলামেশা করলে কথাবার্তা আনন্দ উল্লাসের মধ্যে দিয়ে এই রাশির জাতক জাতিকাদের প্রকৃত চরিত্র ধরা পড়ে। তখন বুঝতে পেরে সরেও পড়ে পরিচিতের কাছ থেকে।

প্রথম অবস্থায় স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নশীল। যৌবনে আনন্দে উল্লসিত মন পরবর্তী সময়ে নানান শুভাশুভ কাজের মধ্যে দিয়ে বরণ করে নেয় জীবন সংগ্রামের বলিষ্ঠ পথকে।

আমার জ্যোতিষশাস্ত্রের শিক্ষাগুরু শ্রীশুকদেব গোস্বামীর গ্রন্থের সাহায্য নিয়ে এই অংশটুকু লেখা হয়েছে। এর সঙ্গে সংযোজন করা হয়েছে নিজের পেশাগত জীবনের বেশ কিছু অভিজ্ঞতার কথা। লেখক চিরকৃতজ্ঞ হয়ে রইল উক্ত গ্রন্থের লেখক ও প্রকাশকের কাছে।

প্রতিকারগুলি আমার মনগড়া কোনও কথা নয়। বিভিন্ন সময়ে ভারতের নানা প্রান্তে ভ্রমণকালীন পথচলতি সাধুসঙ্গের সময় লোক-কল্যাণে সাধুদের বলা প্রতিকারগুলিই এখানে করা হল।

সব কথা মিলবে, এমনটা ভাববার কোনও কারণ নেই। এখানে রাশির ওপর ভিত্তি করে ভাগ্যফল নিয়ে যা লেখা তা অভিজ্ঞতায় দেখা একটা আভাস মাত্র। এটাই বাস্তব সত্য বলে ধরে নিয়ে চলাটা কোনও কাজের কথা নয়, চলার কারণ আছে বলেও মনে হয় না।

Show More

One Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *