কন্যা রাশির ২০২৪ বছরটা কেমন কাটবে ও কি করলে ভালো থাকবেন
লেখক জ্যোতির্বিদ শিবশংকর ভারতীর কলমে কন্যা রাশির ২০২৪ সালের রাশিফল - কেমন কাটবে ২০২৪ সালের ১লা জানুয়ারি থেকে ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত তার আগাম ধারনা।
বছরটা কেমন কাটবে : কর্মক্ষেত্রে মানসিক চাপটা থাকবে সারা বছর। আর্থিক দিক থেকে লক্ষণীয় কোনও পরিবর্তনের আশা নেই। কোনও নিকট আত্মীয় কিংবা বন্ধুর সঙ্গে প্রীতির সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা। দূরপাল্লায় ভ্রমণ যোগ। পেশা বা ব্যবসায় নিযুক্তদের সময়টা অনেক স্বস্তিকর। বিদ্যার্থীদের পক্ষে সময়টা শুভসূচক। শারীরিক আমেজ অনেকটাই ফিরে আসবে। ধর্মের প্রতি আকর্ষণ বাড়বে। লেখালেখির সঙ্গে যুক্তদের সুনাম বাড়বে। গোপন শত্রুতা মনকে বিব্রত করতে পারে। প্রেমপ্রীতির ক্ষেত্রে সময় প্রীতি ও আনন্দবর্ধক। নতুন প্রেমে ইচ্ছুকদের প্রেমাবেদনের পক্ষে সময়টা অনুকূলে। বিবাহিতদের দাম্পত্য কলহে প্রায়ই মানসিক শান্তি নষ্ট হবে।
কন্যা লগ্নের জাতক জাতিকাদের শারীরিক ও মানসিক স্বস্তি বাড়বে অনেকটাই।
কি করলে একটু ভালো থাকবেন : সম্ভব হলে প্রতি শনিবার নটা সাদা ফুল (টগর বাদে) আর কলা বাদে একটা ফল যে কোনও প্রতিষ্ঠিত কালীমন্দিরে সকাল থেকে রাতের মধ্যে যখন সময় পাবেন, দক্ষিণা সমেত দিয়ে চলে আসুন। কাজটা সমানে করতে থাকুন। সংসার ও প্রতিষ্ঠা জীবনের সার্বিক কল্যাণ তো হবেই, দেহমনের অনেক স্বস্তি আসবে।
কি রঙের পোশাক পরবেন : কন্যা রাশির জাতক জাতিকাদের জন্য হালকা আকাশি, হালকা সবুজ, হালকা হলুদ আর সাদা পোশাক অত্যন্ত শুভদায়ক। বাড়িঘরের রঙের মধ্যে থেকে একটা পছন্দ করতে পারেন।
এই রাশির অধিপতি গ্রহ বুধ। ভাবাবেগের রাশি। উক্ত রাশির জাতক জাতিকাদের মুখশ্রীতে প্রতিফলিত রয়েছে সৌম্যভাব। স্মৃতিশক্তির প্রখরতায় এরা অনেক বিষয়ই কণ্ঠস্থ করতে সমর্থ হয়।
এদের চরিত্রের মধ্যে নির্মল নির্লোভ কমনীয়তা থাকে তাই খুব সহজেই শত্রুকে বশীভূত করতে সক্ষম হয়।
এই রাশির প্রেমাবেদন থাকে অতিমাত্রায়। বিপরীত লিঙ্গকে দ্রুত আকর্ষণ করতে পারে। বিবাহ প্রায়ই অসবর্ণ পরিচিতের মধ্যে হয়ে থাকে।
সরলতার মধ্যে রয়েছে আত্মবিশ্বাস ও মানসিক সংযম। নিজ প্রচেষ্টা এবং অন্যের সহায়তা এ দুইয়ের মিলনে আসে প্রতিষ্ঠা। স্বভাবে বুধ তমোধর্মী তাই এ রাশি বৈরাগ্যকে আশ্রয় করে এগিয়ে চলতে চায় না।
ভালোবেসে বিয়ে করলেও স্বামী ও স্ত্রী প্রায়ই মনোমতো হয় না। সংগীত সাহিত্য শিল্পের প্রতি আকর্ষণ যেন সহজাত।
আমার জ্যোতিষশাস্ত্রের শিক্ষাগুরু শ্রীশুকদেব গোস্বামীর গ্রন্থের সাহায্য নিয়ে এই অংশটুকু লেখা হয়েছে। এর সঙ্গে সংযোজন করা হয়েছে নিজের পেশাগত জীবনের বেশ কিছু অভিজ্ঞতার কথা। লেখক চিরকৃতজ্ঞ হয়ে রইল উক্ত গ্রন্থের লেখক ও প্রকাশকের কাছে।
এখানে যে প্রতিকারগুলি রাশি অনুযায়ী করা হল তা শুধুমাত্র এক বছরের জন্য। প্রতিকারগুলি আমার মনগড়া কোনও কথা নয়। বিভিন্ন সময়ে ভারতের নানা প্রান্তে ভ্রমণকালীন পথচলতি সাধুসঙ্গের সময় লোক-কল্যাণে সাধুদের বলা প্রতিকারগুলিই এখানে করা হল।
এবার ব্যক্তিগত রাশি অনুসারে ‘ফল’ কতটা মিলবে সে বিষয়টি খোলসা করে বলা যাক। এখানে যে ফলাফল লেখা হল তা একেবারেই অনুমানভিত্তিক।
নক্ষত্র ভেদে এক এক জাতক-জাতিকার মানসিক গঠন, চিন্তাভাবনা, চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, জীবনপ্রবাহ এক একরকম হয়ে থাকে; এর সঙ্গে থাকে জন্মকালীন রাশিচক্রে শুভাশুভ গ্রহের অবস্থান। রাশি এক হলেও নক্ষত্র ইত্যাদি ভেদে ফলাফলের তারতম্যটাই স্বাভাবিক।
অত্যন্ত সূক্ষ্ম বিচার করে ফলাফল লেখা সম্ভব হয় না। প্রত্যেকটা রাশির কোনও একটা নক্ষত্রকে ধরে গড়ে একটা অনুমানভিত্তিক শুভাশুভ ফল লেখা হয়। ফলে কারও ফল মেলে দারুণভাবে, কারও কিছু কিছু, কারও বা একেবারেই নয়।
সব কথা মিলবে, এমনটা ভাববার কোনও কারণ নেই। এখানে রাশির ওপর ভিত্তি করে ভাগ্যফল নিয়ে যা লেখা তা অভিজ্ঞতায় দেখা একটা আভাস মাত্র। এটাই বাস্তব সত্য বলে ধরে নিয়ে চলাটা কোনও কাজের কথা নয়, চলার কারণ আছে বলেও মনে হয় না।