Horoscope

মকর রাশির রবিবার দিনটা কেমন কাটবে ও শুভ সময়, ১৯ মে, ২০২৪

মকর রাশির আজকের দিনটা কেমন কাটতে চলেছে, রাশিফল ও দৈনিক সময়সূচী অনুযায়ী প্ল্যানিং করুন আজ কি কি করনীয় আর কি বর্জনীয়। দৈনিক রাশিফল, রাশি অনুযায়ী প্রতিকার ও দৈনিক সময়সূচী।

জন্মের পর থেকে এই রাশির জাতক জাতিকারা দেখেছে চারদিকে ছড়িয়ে আছে হিংসা-দ্বেষ অহংকার ও স্বার্থের পসরা। তার মধ্যে দিয়ে দুঃখবাদের কারক মকর রাশির অধিপতি শনি মূল লক্ষ্যে পৌঁছে দেয়। এদের চরিত্রে প্রকাশ পায় কর্মে নিষ্ঠা, কঠোর পরিশ্রম, অধ্যবসায় ও একাগ্রতা। সমস্ত দুঃখ কষ্টকে জয় করার ক্ষমতা যেন আত্মশক্তির মধ্যেই নিবিড়ভাবে নিহিত আছে।


মোবাইল অ্যাপে পড়ুন রাশিফল – এখনই ডাউনলোড করুন

বয়েস বৃদ্ধির সঙ্গে এই রাশির প্রতিষ্ঠা যশ সম্মান অর্থ ক্রমোত্তর বৃদ্ধি পেতে থাকে। এদের মন ও মত, কর্মচিন্তা ও পদ্ধতি সাধারণের তুলনায় একটু ভিন্ন ধরণের।

পরিশ্রম করে এরা সফল হয় তবে সাফল্য দেরিতে। বিবাহ প্রায়ই পরিচিতের মধ্যে সংঘটিত হয়। আত্মীয়রা তেমন উপকারে আসে না। সংসারী হয়, উদাসীন খুব কর্মক্ষেত্রে। বিলাসে প্রমত্তের চেয়ে এরা একেবারেই সাধারণ জীবনযাপনের পক্ষপাতী।

আমার জ্যোতিষশাস্ত্রের শিক্ষাগুরু শ্রীশুকদেব গোস্বামীর গ্রন্থের সাহায্য নিয়ে এই অংশটুকু লেখা হয়েছে। এর সঙ্গে সংযোজন করা হয়েছে নিজের পেশাগত জীবনের বেশ কিছু অভিজ্ঞতার কথা। লেখক চিরকৃতজ্ঞ হয়ে রইল উক্ত গ্রন্থের লেখক ও প্রকাশকের কাছে।

আজ দিনটা কেমন কাটবে : শুধু শরীর সম্পর্কে সতর্ক থাকলেই চলবে। আয় বাড়বে নিঃসন্দেহে। কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ থাকবে বাধামুক্ত। দিনটা মোটামুটি আনন্দের মধ্যেই অতিবাহিত হবে। পুরনো বন্ধু সান্নিধ্যে আনন্দ বৃদ্ধি। অযাচিত অর্থ কিংবা দ্রব্যলাভ। নিজ দোষে কোনও কিছু ক্ষতি। কোনও পুরনো ব্যাপারকে কেন্দ্র করে অশান্তির সৃষ্টি। ধর্মালোচনা বৃদ্ধি। কারও সহায়তালাভ। হঠাৎ কোথাও বেড়াতে যাবেন। প্রেমপ্রীতির ক্ষেত্রে আন্তরিকতা ও স্পর্শকাতরতা বৃদ্ধি পাবে।

প্রতিদিন সারাদিনের মধ্যে মাঝে মাঝে কিছুটা ভালো সময় থাকে। যে সময়টা শুভকাজের পক্ষে শুভদায়ক। সেই সময়ের মধ্যে শুভকাজ করলে শুভই হবে একথা জোর দিয়ে বলা যায়না। কারণ বিভিন্ন রাশি গ্রহ নক্ষত্র ইত্যাদির উপর শুভ ফলের মাত্রা কমবেশি হয়ে থাকে। তবুও কিছুটা শুভ ফল আশা করা যায়। যেমন অমৃতযোগ ও মাহেন্দ্রযোগ।

এই যোগে যেকোনও শুভকাজে বেরলে সাধারণভাবে শুভ ফললাভ হয়ে থাকে। যেমন চাকরির পরীক্ষা, কোথাও যাত্রা, কোনও শুভকাজে যাওয়া, পরীক্ষা, বাড়ি কেনাবেচা ইত্যাদি যেকোনও এই কাজ অমৃতযোগ ও মাহেন্দ্রযোগে করলে শুভ ফল পাওয়া যেতে পারে।

আরেকটা হল বারবেলা, কালবেলা ও কালরাত্রি। এই সময় যেকোনও শুভকাজ নিষ্ফলই হয়ে থাকে। সুতরাং আনুমানিক সময় ধরে কাজ করলে ভাল ফল আশা করা যেতে পারে।

আজকের সময়সূচী :

অমৃতযোগ : সকাল ৬টা ৪৪ মিনিট থেকে ৯টা ২২ মিনিটের মধ্যে। পুনরায় ১১টা ৫৯ মিনিট থেকে ২টো ৩৭ মিনিটের মধ্যে। পুনরায় রাত্রি ৭টা ৩৪ মিনিটের মধ্যে। পুনরায় ১০টা ২৮ মিনিট থেকে ১২টা ৩৬ মিনিটের মধ্যে।
মাহেন্দ্রযোগ : সকাল ৪টে ২২ মিনিট থেকে ৫টা ১৫ মিনিটের মধ্যে।
বারবেলা : সকাল ৯টা ৫৫ মিনিট থেকে ১টা ১২ মিনিটের মধ্যে।
কালরাত্রি : সকাল ১২টা ৫৫ মিনিট থেকে ২টো ১৬ মিনিটের মধ্যে।

এখানে যে প্রতিকারগুলি রাশি অনুযায়ী করা হল তা শুধুমাত্র এক বছরের জন্য। প্রতিকারগুলি আমার মনগড়া কোনও কথা নয়। বিভিন্ন সময়ে ভারতের নানা প্রান্তে ভ্রমণকালীন পথচলতি সাধুসঙ্গের সময় লোক-কল্যাণে সাধুদের বলা প্রতিকারগুলিই এখানে করা হল।

কি করলে একটু ভালো থাকবেন : প্রতি সোমবার সকাল থেকে রাতের মধ্যে একটা সাদা পদ্ম, না পেলে (পাওয়া যায় কারণ প্রতিদিন দেখেছি ডেড বডিতে সাপ্লাই আছে) সাদা শাপলা ফুল একটা যে কোনও প্রতিষ্ঠিত শিবমন্দিরে স্পর্শ করে রেখে আসলেই হবে। এক বছর এ কাজটা করলে সংসার ও প্রতিষ্ঠা জীবনের সার্বিক কল্যাণ হতে বাধ্য।

কি রঙের পোশাক পরবেন : একটু চেষ্টা করুন পোশাকের রংটা সবুজ, আকাশি, হালকা বা একটু গাঢ় হলুদের মধ্যে রাখতে। দেহমন কর্ম ও পারিবারিক ক্ষেত্রের অস্বস্তি অনেকটাই কাটবে। অধিকাংশ শুভ প্রচেষ্টায় সাফল্য আসবে। বাড়ি ঘরের রং হলুদ রাখলে ভালো হয়।

এবার ব্যক্তিগত রাশি অনুসারে ‘ফল’ কতটা মিলবে সে বিষয়টি খোলসা করে বলা যাক। এখানে যে ফলাফল লেখা হল তা একেবারেই অনুমানভিত্তিক।

নক্ষত্র ভেদে এক এক জাতক-জাতিকার মানসিক গঠন, চিন্তাভাবনা, চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, জীবনপ্রবাহ এক একরকম হয়ে থাকে; এর সঙ্গে থাকে জন্মকালীন রাশিচক্রে শুভাশুভ গ্রহের অবস্থান। রাশি এক হলেও নক্ষত্র ইত্যাদি ভেদে ফলাফলের তারতম্যটাই স্বাভাবিক।

অত্যন্ত সূক্ষ্ম বিচার করে ফলাফল লেখা সম্ভব হয় না। প্রত্যেকটা রাশির কোনও একটা নক্ষত্রকে ধরে গড়ে একটা অনুমানভিত্তিক শুভাশুভ ফল লেখা হয়। ফলে কারও ফল মেলে দারুণভাবে, কারও কিছু কিছু, কারও বা একেবারেই নয়।

সব কথা মিলবে, এমনটা ভাববার কোনও কারণ নেই। এখানে রাশির ওপর ভিত্তি করে ভাগ্যফল নিয়ে যা লেখা তা অভিজ্ঞতায় দেখা একটা আভাস মাত্র। এটাই বাস্তব সত্য বলে ধরে নিয়ে চলাটা কোনও কাজের কথা নয়, চলার কারণ আছে বলেও মনে হয় না।

Show More

3 Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *