Horoscope

সিংহ রাশির বৃহস্পতিবার দিনটা কেমন কাটবে ও শুভ সময়, ১৬ মে, ২০২৪

সিংহ রাশির আজকের দিনটা কেমন কাটতে চলেছে, রাশিফল ও দৈনিক সময়সূচী অনুযায়ী প্ল্যানিং করুন আজ কি কি করনীয় আর কি বর্জনীয়। দৈনিক রাশিফল, রাশি অনুযায়ী প্রতিকার ও দৈনিক সময়সূচী।

রবির প্রভাবাশ্রিত উদ্ভাবনী শক্তির ধারক ও বাহক সিংহ রাশি। মানসিক শক্তির উৎসদাতা সিংহ রাশির জাতক জাতিকাদের মধ্যে থাকে বলিষ্ঠ গাম্ভীর্য। এরা জীবন পথে এগিয়ে চলে বাধাবন্ধহারা গতিতে। এদের মধ্যে রয়েছে দয়ামায়া, অনাশ্রিতকে আশ্রয়দান করার ক্ষমতা। এরা সব সময়েই কৃতজ্ঞ। দোষ স্বীকার করলে ক্ষমা করাই এদের জীবনের দস্তুর।


মোবাইল অ্যাপে পড়ুন রাশিফল – এখনই ডাউনলোড করুন

ভোগের মধ্যে দিয়েই এদের ভগবানকে ডাকা। সব ছেড়ে তাঁকে চাই, এমন ভাবনা এ রাশির জাতক জাতিকারা স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারে না। ভোগবাসনা চরিতার্থ না হলে এদের মানসিকতা নিম্নাভিমুখী হয়ে পড়ে। সন্তানভাবনা অতিমাত্রায়। রাগ ও স্পষ্টবাদিতার কারণে আত্মীয় ও বন্ধুর সংখ্যা খুবই কম। যে কোনও পরিবেশে প্রথম অবস্থায় নয়, পরে নিজেকে জাহির করার চেষ্টা।

বিবাহিত জীবনে তমোগুণী শনির প্রভাবে এ রাশির জাতক জাতিকারা শতকরা একজনও শান্তি পেয়েছে কিনা সন্দেহ। সিংহ রাশির ডিভোর্সের সংখ্যা অন্য রাশির তুলনায় বেশি।

আমার জ্যোতিষশাস্ত্রের শিক্ষাগুরু শ্রীশুকদেব গোস্বামীর গ্রন্থের সাহায্য নিয়ে এই অংশটুকু লেখা হয়েছে। এর সঙ্গে সংযোজন করা হয়েছে নিজের পেশাগত জীবনের বেশ কিছু অভিজ্ঞতার কথা। লেখক চিরকৃতজ্ঞ হয়ে রইল উক্ত গ্রন্থের লেখক ও প্রকাশকের কাছে।

আজ দিনটা কেমন কাটবে : কর্মক্ষেত্র নতুন যোগাযোগ ও আয় বৃদ্ধি করবে। কোনও গুণের জন্য প্রশংসিত হবেন। বন্ধু কিংবা আত্মীয়ের গৃহে স্বল্পকালীন অবস্থান মানসিক উৎফুল্লতা বৃদ্ধি করবে। অতি নিকট আত্মীয়ের ব্যাপারে উৎকণ্ঠা বাড়তে পারে। কোনও অশুভ সংবাদ পেতে পারেন। ডান হাতে আঘাত প্রাপ্তির সম্ভাবনা। কোনও মন্দির অথবা তীর্থ ভ্রমণযোগ। প্রেম প্রণয়ের ক্ষেত্রে মনোমালিন্য ও ভুল বোঝাবুঝির পরিসমাপ্তি ঘটবে। কিছু অর্থলাভ ও নতুন দ্রব্য কেনাকাটা হতে পারে।

প্রতিদিন সারাদিনের মধ্যে মাঝে মাঝে কিছুটা ভালো সময় থাকে। যে সময়টা শুভকাজের পক্ষে শুভদায়ক। সেই সময়ের মধ্যে শুভকাজ করলে শুভই হবে একথা জোর দিয়ে বলা যায়না। কারণ বিভিন্ন রাশি গ্রহ নক্ষত্র ইত্যাদির উপর শুভ ফলের মাত্রা কমবেশি হয়ে থাকে। তবুও কিছুটা শুভ ফল আশা করা যায়। যেমন অমৃতযোগ ও মাহেন্দ্রযোগ।

এই যোগে যেকোনও শুভকাজে বেরলে সাধারণভাবে শুভ ফললাভ হয়ে থাকে। যেমন চাকরির পরীক্ষা, কোথাও যাত্রা, কোনও শুভকাজে যাওয়া, পরীক্ষা, বাড়ি কেনাবেচা ইত্যাদি যেকোনও এই কাজ অমৃতযোগ ও মাহেন্দ্রযোগে করলে শুভ ফল পাওয়া যেতে পারে।

আরেকটা হল বারবেলা, কালবেলা ও কালরাত্রি। এই সময় যেকোনও শুভকাজ নিষ্ফলই হয়ে থাকে। সুতরাং আনুমানিক সময় ধরে কাজ করলে ভাল ফল আশা করা যেতে পারে।

আজকের সময়সূচী :

অমৃতযোগ : দুপুর ৩টে ২৬ মিনিট থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত।
মাহেন্দ্রযোগ : সকাল ৫টা ৫২ মিনিটের মধ্যে। পুনরায় ৯টা ২২ মিনিট থেকে ১১টা ৭ মিনিটের মধ্যে।
বারবেলা : দুপুর ২টো ৪৯ মিনিট থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত।
কালরাত্রি : দুপুর ১১টা ৩৩ মিনিট থেকে ১২টা ৫৫ মিনিটের মধ্যে।

এখানে যে প্রতিকারগুলি রাশি অনুযায়ী করা হল তা শুধুমাত্র এক বছরের জন্য। প্রতিকারগুলি আমার মনগড়া কোনও কথা নয়। বিভিন্ন সময়ে ভারতের নানা প্রান্তে ভ্রমণকালীন পথচলতি সাধুসঙ্গের সময় লোক-কল্যাণে সাধুদের বলা প্রতিকারগুলিই এখানে করা হল।

কি করলে একটু ভালো থাকবেন : প্রতিদিন সকাল থেকে সারাদিনের মধ্যে যখন সময় পাবেন, যে কোনও কুকুরকে যে কোনও খাবার একটু খেতে দিন। চেষ্টা করবেন একটা দিন যেন বাদ না যায়। কাজটা চলতে থাকলে দেহমনে অস্বস্তি আসবে না। সারা বছরে অনেক বাধা দুর্গতির হাত থেকে রক্ষা পাবেন।

কি রঙের পোশাক পরবেন : লাল, গোলাপি, হলুদ, বাসন্তী রঙের পোশাক এই রাশির জন্য শুভ। শুভ প্রচেষ্টায় সাফল্য ও দেহমনের আনন্দদায়ক হবে। বাড়ি বা ঘরের জন্য এর যে কোনও একটা রং ব্যবহার করতে পারেন।

এবার ব্যক্তিগত রাশি অনুসারে ‘ফল’ কতটা মিলবে সে বিষয়টি খোলসা করে বলা যাক। এখানে যে ফলাফল লেখা হল তা একেবারেই অনুমানভিত্তিক।

নক্ষত্র ভেদে এক এক জাতক-জাতিকার মানসিক গঠন, চিন্তাভাবনা, চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, জীবনপ্রবাহ এক একরকম হয়ে থাকে; এর সঙ্গে থাকে জন্মকালীন রাশিচক্রে শুভাশুভ গ্রহের অবস্থান। রাশি এক হলেও নক্ষত্র ইত্যাদি ভেদে ফলাফলের তারতম্যটাই স্বাভাবিক।

অত্যন্ত সূক্ষ্ম বিচার করে ফলাফল লেখা সম্ভব হয় না। প্রত্যেকটা রাশির কোনও একটা নক্ষত্রকে ধরে গড়ে একটা অনুমানভিত্তিক শুভাশুভ ফল লেখা হয়। ফলে কারও ফল মেলে দারুণভাবে, কারও কিছু কিছু, কারও বা একেবারেই নয়।

সব কথা মিলবে, এমনটা ভাববার কোনও কারণ নেই। এখানে রাশির ওপর ভিত্তি করে ভাগ্যফল নিয়ে যা লেখা তা অভিজ্ঞতায় দেখা একটা আভাস মাত্র। এটাই বাস্তব সত্য বলে ধরে নিয়ে চলাটা কোনও কাজের কথা নয়, চলার কারণ আছে বলেও মনে হয় না।

Show More

One Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *