তুলা রাশির শুক্রবার দিনটা কেমন কাটবে ও শুভ সময়, ২২ নভেম্বর, ২০২৪
তুলা রাশির আজকের দিনটা কেমন কাটতে চলেছে, রাশিফল ও দৈনিক সময়সূচী অনুযায়ী প্ল্যানিং করুন আজ কি কি করনীয় আর কি বর্জনীয়। দৈনিক রাশিফল, রাশি অনুযায়ী প্রতিকার ও দৈনিক সময়সূচী।
শুক্রাচার্যের আনন্দময় ধাম তুলারাশি। জাগতিক কামনাবাসনার কারক এই রাশি। প্রকাশ শক্তির বিস্তার এই রাশিতে কম। জাতক জাতিকাদের প্রকৃত মনোভাব বুঝে ওঠা দায়। যে কোনও মুহুর্তে প্রতিষ্ঠাক্ষেত্রে বারংবার বাধা আসে তবুও শুক্রের প্রভাবে দুর্দমনীয় প্রচেষ্টা নিয়ে অগ্রসর হয়, আরও সুন্দর ও ঐশ্বর্যমণ্ডিত করে তুলতে চায় জীবনকে।
এই রাশিতে রজোগুণের প্রভাব বেশি থাকায় কর্মের উদ্যম নষ্ট হয় না। জীবনের প্রথমভাগে ভোগ বাসনা শিল্পপ্রিয়তা, মধ্যভাগে ত্যাগের মধ্যে দিয়ে জীবন পরিচালনা, শেষ ভাগে ত্যাগের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে।
এদের জীবনে কর্ম প্রায় ক্ষেত্রেই অসম্পূর্ণ থাকে। এই রাশির জাতক জাতিকারা প্রশংসা ও স্তুতিপ্রিয়। সহজে অন্যের কথায় বিশ্বাসী হয়ে পরে প্রতারিত হয় মানসিক ও আর্থিক ভাবে।
আমার জ্যোতিষশাস্ত্রের শিক্ষাগুরু শ্রীশুকদেব গোস্বামীর গ্রন্থের সাহায্য নিয়ে এই অংশটুকু লেখা হয়েছে। এর সঙ্গে সংযোজন করা হয়েছে নিজের পেশাগত জীবনের বেশ কিছু অভিজ্ঞতার কথা। লেখক চিরকৃতজ্ঞ হয়ে রইল উক্ত গ্রন্থের লেখক ও প্রকাশকের কাছে।আজ দিনটা কেমন কাটবে : আয়ের ক্ষেত্রে সামান্য উৎসাহবর্দ্ধক দিন। কর্মক্ষেত্র, শরীর ও মন হতাশার সৃষ্টি করবে। কর্মক্ষেত্রে হঠাৎ কোনও ঝামেলার সৃষ্টি হতে পারে। অযথা অর্থ ব্যয়। কোনও পূর্ব পরিকল্পনা হঠাৎ বানচাল হতে পারে। নিজ ভুলে অর্থ কিংবা দ্রব্য ক্ষতির সম্ভাবনা। কোনও সুখবর পাবেন। হঠাৎ কোথাও বেড়াতে যাবেন। কোনও নতুন দ্রব্য লাভ কিংবা কেনাকাটা হবে। প্রেম প্রীতির ক্ষেত্রে অভিমানজনিত অশান্তি ভোগ করতে হবে।
প্রতিদিন সারাদিনের মধ্যে মাঝে মাঝে কিছুটা ভালো সময় থাকে। যে সময়টা শুভকাজের পক্ষে শুভদায়ক। সেই সময়ের মধ্যে শুভকাজ করলে শুভই হবে একথা জোর দিয়ে বলা যায়না। কারণ বিভিন্ন রাশি গ্রহ নক্ষত্র ইত্যাদির উপর শুভ ফলের মাত্রা কমবেশি হয়ে থাকে। তবুও কিছুটা শুভ ফল আশা করা যায়। যেমন অমৃতযোগ ও মাহেন্দ্রযোগ।
এই যোগে যেকোনও শুভকাজে বেরলে সাধারণভাবে শুভ ফললাভ হয়ে থাকে। যেমন চাকরির পরীক্ষা, কোথাও যাত্রা, কোনও শুভকাজে যাওয়া, পরীক্ষা, বাড়ি কেনাবেচা ইত্যাদি যেকোনও এই কাজ অমৃতযোগ ও মাহেন্দ্রযোগে করলে শুভ ফল পাওয়া যেতে পারে।
আরেকটা হল বারবেলা, কালবেলা ও কালরাত্রি। এই সময় যেকোনও শুভকাজ নিষ্ফলই হয়ে থাকে। সুতরাং আনুমানিক সময় ধরে কাজ করলে ভাল ফল আশা করা যেতে পারে।
আজকের সময়সূচী :
অমৃতযোগ : সকাল ৬টা ৪১ মিনিটের মধ্যে। পুনরায় ৭টা ২৪ মিনিট থেকে ৯টা ৩৫ মিনিটের মধ্যে। পুনরায় ১১টা ৪৪ মিনিট থেকে ২টো ৩৮ মিনিটের মধ্যে। পুনরায় ৩টে ২১ মিনিট থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত। পুনরায় রাত্রি ৫টা ৪০ মিনিট থেকে ৯টা ১১ মিনিট পর্যন্ত। পুনরায় রাত্রি ১১টা ৪৯ মিনিট থেকে ৩টে ২০ মিনিটের মধ্যে। পুনরায় রাত্রি ৪টে ১৪ মিনিট থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত।
বারবেলা : সকাল ৮টা ৪১ মিনিট থেকে ১১টা ২৩ মিনিটের মধ্যে।
কালরাত্রি : সকাল ৮টা ৫ মিনিট থেকে ৯টা ৪৪ মিনিটের মধ্যে।
এখানে যে প্রতিকারগুলি রাশি অনুযায়ী করা হল তা শুধুমাত্র এক বছরের জন্য। প্রতিকারগুলি আমার মনগড়া কোনও কথা নয়। বিভিন্ন সময়ে ভারতের নানা প্রান্তে ভ্রমণকালীন পথচলতি সাধুসঙ্গের সময় লোক-কল্যাণে সাধুদের বলা প্রতিকারগুলিই এখানে করা হল।
কি করলে একটু ভালো থাকবেন : সারাটা বছর হাজার কাজের মধ্যে সকাল থেকে রাতের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত শনি মন্দিরে সাদা বাতাসা, সাদা ফুলের মালা আর যা মন চায় দক্ষিণা দিয়ে শনিদেবের পুজো দিলে সারা বছর অনেক দুর্ভোগের হাত থেকে রক্ষা পাবেন।
কি রঙের পোশাক পরবেন : হালকা লাল, গোলাপি, সাদা, উজ্জ্বল হাল্কা আকাশি পোশাক দেহমনকে আনন্দ আর অধিকাংশ কাজে সফলতা দেবে সম্মানের সঙ্গে। আরও ভালো হয় বাড়িঘর পাতিলেবু রং করলে।
এবার ব্যক্তিগত রাশি অনুসারে ‘ফল’ কতটা মিলবে সে বিষয়টি খোলসা করে বলা যাক। এখানে যে ফলাফল লেখা হল তা একেবারেই অনুমানভিত্তিক।
নক্ষত্র ভেদে এক এক জাতক-জাতিকার মানসিক গঠন, চিন্তাভাবনা, চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, জীবনপ্রবাহ এক একরকম হয়ে থাকে; এর সঙ্গে থাকে জন্মকালীন রাশিচক্রে শুভাশুভ গ্রহের অবস্থান। রাশি এক হলেও নক্ষত্র ইত্যাদি ভেদে ফলাফলের তারতম্যটাই স্বাভাবিক।
অত্যন্ত সূক্ষ্ম বিচার করে ফলাফল লেখা সম্ভব হয় না। প্রত্যেকটা রাশির কোনও একটা নক্ষত্রকে ধরে গড়ে একটা অনুমানভিত্তিক শুভাশুভ ফল লেখা হয়। ফলে কারও ফল মেলে দারুণভাবে, কারও কিছু কিছু, কারও বা একেবারেই নয়।
সব কথা মিলবে, এমনটা ভাববার কোনও কারণ নেই। এখানে রাশির ওপর ভিত্তি করে ভাগ্যফল নিয়ে যা লেখা তা অভিজ্ঞতায় দেখা একটা আভাস মাত্র। এটাই বাস্তব সত্য বলে ধরে নিয়ে চলাটা কোনও কাজের কথা নয়, চলার কারণ আছে বলেও মনে হয় না।
Ami bideshe thaki kacha kachi kono mondir nei ebang batt gach o nei amar pokkhe ki karonio janale upokrito habo.
Rabin