Horoscope

বৃশ্চিক রাশির শুক্রবার দিনটা কেমন কাটবে ও শুভ সময়, ৩ মে, ২০২৪

বৃশ্চিক রাশির আজকের দিনটা কেমন কাটতে চলেছে, রাশিফল ও দৈনিক সময়সূচী অনুযায়ী প্ল্যানিং করুন আজ কি কি করনীয় আর কি বর্জনীয়। দৈনিক রাশিফল, রাশি অনুযায়ী প্রতিকার ও দৈনিক সময়সূচী।

এই রাশির জাতক জাতিকারা চঞ্চল ও একগুঁয়ে মনোভাবের হয়। রাগ জেদ অস্থিরতা অধীর ও পরশ্রীকাতরতা দোষগুলি এ রাশিতে প্রায়ই থাকে। উদারতার প্রকাশ ও চারিত্রিক দৃঢ়তা কম। আত্মপ্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে থাকে। আধ্যাত্মিকতার মধ্যেও এদের ভণ্ডামি থাকে। অসম্ভব সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে প্রতিষ্ঠা আসে, তবে চন্দ্রের নিচস্থান বৃশ্চিক রাশি, তাই কিছুতেই শান্তিটা আসে না।


মোবাইল অ্যাপে পড়ুন রাশিফল – এখনই ডাউনলোড করুন

পারলৌকিক বিষয়ে কৌতূহল সীমাহীন। এদের করা কাজ অন্যের ভালো না লাগলেও নিজের পরিতৃপ্তিই যথেষ্ট। ইচ্ছাধীন কর্মে আগ্রহী। অন্যের মত ও কথায় গুরুত্ব দিতে নারাজ।

বিবাহিত জীবনে মন ও মতের মিলের অভাব থাকে। এই রাশির জাতক জাতিকারা ব্যর্থতার মধ্যেও খুঁজে নিতে পারে আধ্যাত্মিকতা। শেষ জীবন প্রায়ই কাটে ধর্মীয় জীবনে মনোনিবেশে।

আমার জ্যোতিষশাস্ত্রের শিক্ষাগুরু শ্রীশুকদেব গোস্বামীর গ্রন্থের সাহায্য নিয়ে এই অংশটুকু লেখা হয়েছে। এর সঙ্গে সংযোজন করা হয়েছে নিজের পেশাগত জীবনের বেশ কিছু অভিজ্ঞতার কথা। লেখক চিরকৃতজ্ঞ হয়ে রইল উক্ত গ্রন্থের লেখক ও প্রকাশকের কাছে।

আজ দিনটা কেমন কাটবে : দেহ ও মনের উপর চাপ বাড়বে তবে দিনটা আনন্দ বর্দ্ধক। কর্মক্ষেত্রে যোগাযোগ অক্ষুণ্ণ থাকবে। অযাচিত অর্থলাভ, নিজ গুণে সমাদৃত হওয়া, কারও কথা রক্ষা, স্বজন বিষয়ে সাময়িক মানসিক উদ্বেগ এবং অনিচ্ছা সত্ত্বেও কোথাও যেতে পারেন। সামান্য কোনও কারণে পারিবারিক অশান্তি এবং বন্ধু কিংবা আত্মীয় প্রীতিতে অর্থব্যয় হবে। প্রেমিক প্রেমিকাদের দিনটা মোটামুটি আনন্দদায়ক।

প্রতিদিন সারাদিনের মধ্যে মাঝে মাঝে কিছুটা ভালো সময় থাকে। যে সময়টা শুভকাজের পক্ষে শুভদায়ক। সেই সময়ের মধ্যে শুভকাজ করলে শুভই হবে একথা জোর দিয়ে বলা যায়না। কারণ বিভিন্ন রাশি গ্রহ নক্ষত্র ইত্যাদির উপর শুভ ফলের মাত্রা কমবেশি হয়ে থাকে। তবুও কিছুটা শুভ ফল আশা করা যায়। যেমন অমৃতযোগ ও মাহেন্দ্রযোগ।

এই যোগে যেকোনও শুভকাজে বেরলে সাধারণভাবে শুভ ফললাভ হয়ে থাকে। যেমন চাকরির পরীক্ষা, কোথাও যাত্রা, কোনও শুভকাজে যাওয়া, পরীক্ষা, বাড়ি কেনাবেচা ইত্যাদি যেকোনও এই কাজ অমৃতযোগ ও মাহেন্দ্রযোগে করলে শুভ ফল পাওয়া যেতে পারে।

আরেকটা হল বারবেলা, কালবেলা ও কালরাত্রি। এই সময় যেকোনও শুভকাজ নিষ্ফলই হয়ে থাকে। সুতরাং আনুমানিক সময় ধরে কাজ করলে ভাল ফল আশা করা যেতে পারে।

আজকের সময়সূচী :

অমৃতযোগ : সকাল ৬টা ৪৯ মিনিটের মধ্যে। পুনরায় ৭টা ৪১ মিনিট থেকে ১০টা ১৫ মিনিটের মধ্যে। পুনরায় দুপুর ১২টা ৫০ মিনিট থেকে ২টো ৩৩ মিনিটের মধ্যে। পুনরায় বিকেল ৪টে ১৭ মিনিট থেকে ৬টার মধ্যে। পুনরায় রাত্রি ৭টা ২৯ মিনিট থেকে ৮টা ৫৭ মিনিটের মধ্যে। পুনরায় রাত্রি ২টো ৫৩ মিনিট থেকে ৩টে ৩৭ মিনিটের মধ্যে।
মাহেন্দ্রযোগ : রাত্রি ১০টা ২৬ মিনিট থেকে ১১টা ১১ মিনিটের মধ্যে। পুনরায় রাত্রি ৩টে ৩৭ মিনিট থেকে ৫টা ৫ মিনিটের মধ্যে।
বারবেলা : সকাল ৮টা ১৯ মিনিট থেকে ৯টা ৫৬ মিনিটের মধ্যে‌।
কালরাত্রি : সকাল ৮টা ৪৬ মিনিট থেকে ১০টা ১০ মিনিটের মধ্যে।

এখানে যে প্রতিকারগুলি রাশি অনুযায়ী করা হল তা শুধুমাত্র এক বছরের জন্য। প্রতিকারগুলি আমার মনগড়া কোনও কথা নয়। বিভিন্ন সময়ে ভারতের নানা প্রান্তে ভ্রমণকালীন পথচলতি সাধুসঙ্গের সময় লোক-কল্যাণে সাধুদের বলা প্রতিকারগুলিই এখানে করা হল।

কি করলে একটু ভালো থাকবেন : প্রতি শনি ও মঙ্গলবার, সপ্তাহে দুদিন কুকুরকে মুরগি কিংবা খাসির কাঁচা বা রান্না করা এক টুকরো মাংস খেতে দিন। সারা বছরের অনেক বাধা বিপত্তি কাটবে। শারীরিক অস্বস্তি কাটবে। উটকো ঝামেলা যাবে। মনে অনেক স্বস্তি আসবে।

কি রঙের পোশাক পরবেন : সাংসারিক মানসিক কর্ম ও প্রতিষ্ঠা জীবনের ক্ষেত্রে হালকা লাল, হালকা হলুদ, হালকা আকাশি ও সাদা রঙের পোশাক কল্যাণকর। আকাশিটা বাদ দিয়ে বাড়ি-ঘরের ক্ষেত্রে ওই রংগুলির যে কোনওটি ব্যবহার করতে পারেন।

এবার ব্যক্তিগত রাশি অনুসারে ‘ফল’ কতটা মিলবে সে বিষয়টি খোলসা করে বলা যাক। এখানে যে ফলাফল লেখা হল তা একেবারেই অনুমানভিত্তিক।

নক্ষত্র ভেদে এক এক জাতক-জাতিকার মানসিক গঠন, চিন্তাভাবনা, চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, জীবনপ্রবাহ এক একরকম হয়ে থাকে; এর সঙ্গে থাকে জন্মকালীন রাশিচক্রে শুভাশুভ গ্রহের অবস্থান। রাশি এক হলেও নক্ষত্র ইত্যাদি ভেদে ফলাফলের তারতম্যটাই স্বাভাবিক।

অত্যন্ত সূক্ষ্ম বিচার করে ফলাফল লেখা সম্ভব হয় না। প্রত্যেকটা রাশির কোনও একটা নক্ষত্রকে ধরে গড়ে একটা অনুমানভিত্তিক শুভাশুভ ফল লেখা হয়। ফলে কারও ফল মেলে দারুণভাবে, কারও কিছু কিছু, কারও বা একেবারেই নয়।

সব কথা মিলবে, এমনটা ভাববার কোনও কারণ নেই। এখানে রাশির ওপর ভিত্তি করে ভাগ্যফল নিয়ে যা লেখা তা অভিজ্ঞতায় দেখা একটা আভাস মাত্র। এটাই বাস্তব সত্য বলে ধরে নিয়ে চলাটা কোনও কাজের কথা নয়, চলার কারণ আছে বলেও মনে হয় না।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *